মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব প্রসঙ্গে

গৌতম কানুনগো | শুক্রবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

বই জ্ঞানের উৎস প্রকৃত জ্ঞান আহরণ করতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই । বই ছাড়া মানুষ পরিপূর্ণ হতে পারে না । রকমারী বই পড়ে মানুষ আলোকিত ও সমৃদ্ধ হতে পারে। চট্টগ্রামের অন্যতম প্রকাশনী সংস্থা ‘শৈলী প্রকাশনের’ আয়োজনে চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরুননাহার মিলনায়তনে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব-২০২১’ । প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে বই ঊৎসব ।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক । তিনি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ঢাকার সাথে তাল মিলিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে শৈলী প্রকাশন চট্টগ্রামে বই প্রকাশ, লেখক তৈরী এবং বইমেলা সহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী লেখক পাঠকের মেলবন্ধনে অবদান রেখে চলেছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ গত বছর করোনা মহামারীতে ‘অনলাইন বইমেলা’ ০১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ আয়োজন করে প্রকাশনা জগতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থ্‌াপন করেন। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসবে ১০৫ জন কবি, সাহিত্যিক ও লেখককে “শৈলী বই বন্ধু সম্মাননা” প্রদান করা হয় ।দীর্ঘ ৮দিন ব্যাপী এ উৎসব ছিল লেখক সুহৃদদের মিলনমেলা। বই উৎসবে নবীণ, প্রবীণ লেখকদের বেশ কয়েকটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবি ও শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ এর অসাধারণ গ্রন্থ “দশ দিগন্তে বঙ্গবন্ধু”, টুম্পা ভট্টাচার্যের প্রথম বই “জীবন চর্চা ও ইতিবাচক ভাবনা” , শিশু সাহিত্যিক অরুণ শীলের “নির্বাচিত ছড়া”, কবি মাহবুবা চৌধুরীর ৬৮ জন লেখিকার লেখা সহ একটা গ্রন্থ “ শিখা হয়ে জ্বলো”, লেখক শিপ্রা দাশের নতুন শিশুতোষ গ্রন্থ “অর্কের ভালোভাসা”, কবি হেলাল চৌধুরীর “ জলমোতির অশ্রুজল”, কবি নাটু বিকাশ বড়ুয়ার “পায়রা ডাকে বাকুম বাকুম”, কবি লিপি বড়ুয়ার “মন জোনাকির ছায়াপথ”, কবি জোনাকি দত্তের “বাংলার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু”, কবি শিশুসাহিত্যিক আজিজ রাহমানের “মন ভালো চাই”, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নেছার আহমমদ সম্পাদিত অসামান্য সংকলন “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী”। প্রত্যেকটা বই পাঠক সমাজে দারুণ সমাদৃত হয়েছে। পাঠক ও লেখক সহ বিভিন্ন স্তরের জনগণকে মিলনায়তনের স্টল থেকে বিভিন্ন লেখকের বই সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে । ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে অনুষ্ঠিত হয় “বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্ততীতে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা উৎসব”। ঐ দিন কবি সাহিত্যিকগণ কবিতা , ছড়া ও বিভিন্ন কথামালায় অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চট্টগ্রামে অনন্য সুন্দর ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব’ আয়োজন করার জন্য শৈলী প্রকাশনের প্রতি রইলো অনেক অনেক অভিনন্দন। লেখক : শিশুসাহিত্যিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধবারৈয়ারহাট রামগড় রোডে ভাড়া তালিকা চাই
পরবর্তী নিবন্ধকী এমন তাড়া ছিলো আপনার?