কী এমন তাড়া ছিলো আপনার?

শ্যামল চৌধুরী | শুক্রবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

বৌদ্ধ সমাজ-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের অম্লান পুরোধা, যাঁর অসাধারণ পা-ত্িযে এপার-ওপার বাংলায় ছিল ঈর্ষণীয় বিচরণ, যিনি সারাজীবন ধরে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আমাদের কৃষ্টি, সভ্যতা, ঐতিহ্যকে বিশ্বালোকে উদ্ভাসিত করেছেন, তিনি যে মহীরূহ, তাঁর অসাধারণ সৃষ্টি আগামী প্রজন্মের দীপশিখা, সেই ব্যক্তিত্ব আর কেউ নন কোলকাতা বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভার দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সভাপতি প্রাবন্ধিক-গবেষক-সংগঠক, শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ‘জগজ্জ্যোতি’ সম্পাদক হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী। ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ পরপারে যাত্রা করেন। আজ আমি অনেক বেদনাহত-স্মৃতিকাতর। অনেক স্মৃতি তাঁকে ঘিরে। আমার সাথে হেমেন্দু বাবুর বয়সের বিস্তর ফারাক থাকলেও সর্বদা তিনি আমাকে বড়দের মতো সম্বোধন করতেন। সর্বদা তিনি আমাকে লেখালেখি বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি যে আমাদের ছেড়ে যাবেন সেটা ভাবতেই পারছি না। কী এমন তাড়া ছিলো আপনার? কেনই বা এ প্রস্থান। আপনার এ প্রস্থান আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না। আপনার আরো কিছুদিন বেঁচে থাকার বড্ড প্রয়োজন ছিল। হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী ১৯৮০ সাল থেকে সম্পাদনা করে আসছেন বুদ্ধচর্চার অনবদ্য প্রকাশনা “জগজ্জ্যোতি” আর আমি ২০০১ সালে থেকে সম্পাদনা করে চলেছি “অমিতাভ”। তাঁর প্রস্থানে আজ আমি পথচলায় একজন দীপ্তসখাকে হারালাম। এ শূণ্যতা কোনোদিনও পূরণ হবার নয়। তাঁকে জ্ঞাপন করি শোক-শ্রদ্ধা। ভালো থাকুন পরপারে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংস্কৃতিকমী

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধসাহিত্য জগতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে