মীরসরাই উপজেলার করেরহাটের অলিনগর আমলীঘাট মেরুকুমে নিখোঁজ লেবু বাগান শ্রমিক জাহেদুল ইসলামের (১৮) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে লাশ নদীতে ভেসে উঠলে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। জাহেদ পূর্ব অলিনগর গ্রামের মো. ফারুক ইসলামের ছেলে এবং তিনি লেবু বাগান শ্রমিক হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। তবে অভিযোগ রয়েছে, চোরাই পথে ভারত থেকে আসা চিনিসহ নানারকম পণ্য পরিবহন কাজেও যুক্ত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তরেখার জিরো পয়েন্টের আমলীঘাট এলাকার মেরকুম নামক স্থানে নদীতে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হয় জাহেদ। তাকে উদ্ধারে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যানরা অভিযান চালায়। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস থেকে আসা তিন সদস্যের ডুবুরি দল। সেদিন না পেয়ে সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে। মঙ্গলবার পুনরায় অভিযান শুরু করার কথা থাকলেও তার আগেই মরদেহ ভেসে উঠে।
জাহিদের বাবা ফারুক ইসলাম বলেন, আমলীঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সময় চোরাই পথে চিনি আসে। রোববার রাতে আমার ছেলেসহ আরো অনেকে চিনি আনতে গিয়েছিল। তখন বিএসএফের তাড়া খেয়ে সবাই চলে আসলেও জাহিদ আসেনি। সে কানে কম শুনে এবং সাঁতার জানে না। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজাদ উদ্দিন বলেন, মো. জাহেদ লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। রোববার রাতে ফেনী নদীতে সে নিখোঁজ হয় বলে শুনেছি। স্থানীয়দের মতে জাহেদ ভারত সীমান্ত থেকে চিনিসহ বিভিন্ন দ্রব্য চোরাচালানের কাজেও জড়িত ছিল। হয়তো কোনো কিছু আনতে গিয়ে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে মারা গেছে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ফেনী নদীতে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে প্রেরণ করা হবে।
