মীরসরাইয়ে শতাধিক পান চাষির মাথায় হাত

পান ক্ষেতে মড়ক

মীরসরাই প্রতিনিধি | বুধবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

পানের বরজে বালাই লেগে শতাধিক পান চাষি এখন বিপর্যয়ের মুখে। নানা প্রতিকূলতায় এমনিতেই মীরসরাই উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নে অনেক পান চাষি এখন পেশা পরিবর্তন করে নিচ্ছে। তবুও কৃষি বিভাগ সহ পান ভোজন রসিকদের উৎসাহে অনেকে পেশাটিকে আগলে রাখলেও কখনো কখনো এমন প্রতিকূলতায় কৃষি বিভাগের সাহায্যও মিলে না অভিযোগ রয়েছে অনেক পান চাষির। বর্তমানেও পান ক্ষেতে মড়ক দেখা দিয়েছে। মড়ক লাগায় পানের উৎপাদন যেমনি কম হচ্ছে তেমনি সঠিক দামের সুফল পাচ্ছেন না পান চাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পান চাষ হয়ে থাকে। ২ হেক্টর বা ১৫ বিঘা জমিতে ২৫ জন চাষি এই পান চাষ করে থাকেন। এতে ২৫ মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদীনগর গ্রামের ভোলা কুমার দে পানের বরজে পান ক্ষেতে পানের পাতা ও কান্ডে পচন দেখা দিয়েছে। এছাড়া গোড়া পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে মড়ক দেখা দেয়ায় এবার লোকসানের আশঙ্কাও করছেন তিনি। পানের পাতায় কালো ও হলুদ বর্ণে পান বিবর্ণ হয়ে গেছে। ভোলা কুমার দে প্রায় ২৮ শতক জমিতে দুই বছর আগে পান চাষ শুরু করেন। এতে তার মোট খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সমপ্রতি তার বরজে নানা ধরনের রোগ দেখা দিলে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। বিভিন্ন কোম্পানির নানা ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার পরও ক্ষেতে পান রোগ মুক্ত হয়নি। তিনি জানান, কৃষি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার আজ পর্যন্ত দেখা পাননি। পরামর্শের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থাকলেও তারা এই পর্যন্ত আসেনি। ফলে পানের বরজ নিয়ে আমি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। এভাবে ইউনিয়নের শতাধিক কর্মকর্তা বিপর্যয়ের মুখে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, পানক্ষেতে পানের লতা ও গোড়া পচা রোগ সাধারণত হয়ে থাকে। এই রোগগুলো থেকে প্রতিরোধ করার জন্য ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ওষুধ ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প
পরবর্তী নিবন্ধভারতীয় সেনার ভূমিকায় সুরিয়া