মির্জা ফখরুলের ‘স্মৃতিভ্রংশ’ হচ্ছে কি না, সন্দেহ তথ্যমন্ত্রীর

| মঙ্গলবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ at ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ’ হয়েছে কি না, সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন যে, এই টিকার (করোনা ভাইরাসের টিকা) ওপর নাকি তাদের আস্থা নেই। এই টিকার ওপর পুরো পৃথিবী আস্থা স্থাপন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আস্থা স্থাপন করেছে।
ভারতের কোটি কোটি মানুষকে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলেছেন, এই টিকার ওপর জনগণের আস্থা নেই। তিনি আরও বালখিল্যের মত বলেছেন, এই টিকা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হোক। খবর বিডিনিউজের।
ডা. হাছান বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে, মানুষ বুড়ো হয়ে গেলে একটা রোগ হয়, সেই রোগ হচ্ছে ডিমেনশিয়া। অর্থাৎ আবোল-তাবোল বলে। এই রোগটা শুধু মানুষের হয় তা নয়, এটি মানবগোত্রীয় অন্যান্য প্রাণী যেমন, বানর-হনুমানেরও হয়। ডিমেনশিয়া হলে মানুষ ‘অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর’ মন্তব্য করে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই ডিমেনশিয়া রোগ হয়েছে কি না। না হলে তিনি যেভাবে ইয়ার্কি করার মত কথা বলেছেন, একজন দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে এমন বক্তব্য আশা করা যায় না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের সাফল্যে আপনাদের মুখ ম্লান হয়েছে। তাই বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার যে নোংরা খেলায় নেমেছেন, এটি দেশ, জাতি ও জনগণের সাথে প্রতারণা। আপনারা দয়া করে সেই প্রতারণাটা করবেন না। দেশে যখনই কোনো দৈব-দুর্বিপাক হয় তখনই ‘বিএনপি ও তার মিত্ররা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়’ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
জনপ্রতিনিধিদের কবে টিকা দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রথমে টিকা পাওয়ার অধিকার রাখেন স্বাস্থ্যকর্মীসহ যারা করোনার মধ্যে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। সরকার সেভাবেই একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে। করোনার সময় জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার অধিকারটা আগে নয়। কেউ যদি মনে করে পথ দেখানোর জন্য আমাদের আগে টিকা নিতে হবে, সেক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচন ঘিরে পুলিশের বিশেষ নজরদারি
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম চালানে এলো চুক্তির ৫০ লাখ টিকা