প্রথম চালানে এলো চুক্তির ৫০ লাখ টিকা

| মঙ্গলবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ at ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারিভাবে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট টিকার চালান নিয়ে গতকাল সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এই টিকা আনা হচ্ছে বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘এঙক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে। টিকার বাঙ টঙ্গীতে বেঙ্মিকোর ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই নয়টি ফ্রিজার ভ্যান বিমানবন্দরে প্রস্তুত ছিল। খবর বিডিনিউজের।
এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঠানো ৫০ লাখ ডোজ টিকা আমরা আজ গ্রহণ করলাম। এটাকে আমরা এখন নিয়ে যাব টঙ্গীতে আমাদের নতুন ওয়্যারহাউজে। কোল্ড চেইন মেনটেইন করে সেখানে টিকা রাখা হবে।
নাজমুল হাসান জানান, ওয়্যারহাউজ থেকে প্রতিটি ব্যাচের টিকার নমুনা পাঠানো হবে সরকারের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে। পরীক্ষার পর সবকিছু ঠিক থাকলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ছাড়পত্র পাওয়ার পর টিকাগুলো ৬৪টি জেলায় পৌঁছে দেবে বেঙ্মিকো। আমরা অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর সরকার যেখানে পাঠাতে বলবে, সেখানে পাঠিযে দেওয়া হবে। আমার ধারণা, ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে উনারা যেখানে পৌঁছে দিতে বলেছেন আমরা সেখানে পৌঁছে দিতে পারব।
নাজমুল হাসান জানান, টিকার প্রতিটি কার্টনে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখা হয়েছে। এই ডিভাইস প্রতি পনের মিনিট পর পর সেরাম ইনস্টিটিউটে তাপমাত্রার হালনাগাদ তথ্য পাঠাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টিকার কার্টনগুলো প্রথম দেখবেন। এরপর প্রতিটি কার্টন খোলা হবে। সেখানে টেম্পারেচার মনিটরিং ডিভাইস দেওয়া আছে প্রতিটি কার্টনের ভেতরে। টিকা পৌঁছে দেওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলে দায় বেঙ্মিকো নেবে। বেঙ্মিকো ফার্মার এমডি বলেন, পুরো সময় ওই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা। সেটা যাতে হয়, সে কারণেই কার্টনে ওই ডিভাইস রাখা হয়েছে। আমাদের দেখাতে হবে যে পুনে থেকে মুম্বাই, সেখান থেকে ঢাকা হয়ে আমাদের ওয়্যারহাউজ এবং সেখান থেকে জেলা পর্যায়ে পৌঁছাতে কোথাও কোনো কোল্ড চেইন ব্রেক হয়নি। যদি কোনো ড্যামেজ, শর্টেজ বা কোনো রকমের সমস্যা থাকে, তাহলে আমরা তা চেইঞ্জ করে দেব। টিকা নিয়ে সমস্ত রকমের দায়িত্ব বেঙ্মিকোর।
বেঙ্মিকোর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও টিকা গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমির্জা ফখরুলের ‘স্মৃতিভ্রংশ’ হচ্ছে কি না, সন্দেহ তথ্যমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধ৬৩২ কোটি ১৪ লাখ টাকা মওকুফ চান সুজন