মীরসরাইয়ে ড্রেজারডুবির ঘটনায় আরও তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২২ at ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালু তোলার ড্রেজার ডুবির ঘটনায় আরও ৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

আজ বুধবার বেলা ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান। তিনি জানান, বুধবার আর তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় জাহিদ (২৯) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নিখোঁজ আছেন আরও ৪ শ্রমিক।

যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা হলেন- আল আমিন, মাহমুদ মোল্লা ও ইমাম মোল্লা। তাঁরা সবাই পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী এলাকার বাসিন্দা।

গত সোমবার রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের ৩ নম্বর জেটি এলাকার পশ্চিমে এ ড্রেজারডুবির ঘটনা ঘটে।

ড্রেজারটি থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও ঢেউ ওঠায় সৈকত-২ নামে তাদের ড্রেজারটি মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ড্রেজারটির মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নিয়োগ দিয়েছে বেপজা। ড্রেজারটিতে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনি কিনারে আসতে পারলেও বাকি ৮ শ্রমিক আটকা পড়েন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পরপরই অন্য শ্রমিকেরা নৌকা নিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন তারা ভেতরে আটকা পড়া শ্রমিকদের মৃত অবস্থায় দেখেন।

এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এ ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন- ইমাম মোল্লা, মাহমুদ মোল্লা, শাহীন মোল্লা, আল আমিন, মো. তারেক ও বাশার। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি সমাজতত্ত্ব বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে বুকে গুলি করে হত্যা