মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | শনিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২১ at ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

রমজান মাস রহমতের মাস। এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। রোজাদার ব্যক্তিদের আল্লাহপাক অসীম করুণা করেন। মুসলমানদের কাছে যখন রমজান মাসের প্রথম দিন আগমন করে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কর্তৃক নিযুক্ত বেহেস্তের অধ্যক্ষ রিদওয়ান ফেরেস্তাকে ডেকে বলেন, রোজাদার ও ইবাদতকারীদের জন্য বেহেস্তকে সজ্জিত কর। আর এই মাস অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তার দরজা বন্ধ করো না। যখন এই মাসের দ্বিতীয় দিন আগমন করে তখন আল্লাহপাক জাহান্নামের অধ্যক্ষ মালেককে বলেন, রোজাদার ও রাতে ইবাদতকারীদের জন্য দোজখের দরজা বন্ধ করে দাও এবং এই মাস শেষ না
হওয়া পর্যন্ত খুলো না। যখন তৃতীয় দিন উপস্থিত হয় তখন হযরত জিব্রাঈল (আ.) কে বলেন, তুমি পৃথিবীতে গমন কর এবং শয়তান ও উদ্যত জিনগুলিকে শিকলে বাঁধ, যেন আমার বান্দাদের রাজা নষ্ট করতে না পারে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এমন একজন ফেরেস্তা আছে, যার মাথা আরশের এবং পদদ্বয়
দুনিয়ার সপ্তম স্তরে অবস্থিত, দুই বাহু একটি সূর্যোদয়ের অপরটি সূর্যাস্তের দিগন্তে রয়েছে, একটি লাল ইয়াকুত পাথরের তৈরি, অন্যটি সবুজ মর্মর পাথরের। সে রমজান মাসের প্রতি রাতে আহ্বান করে, ‘কোন তওবাকারী আছে কি, যার তওবা মনজুর করা হবে। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি, যাকে ক্ষমা করা হবে। কোন
অভাবগ্রস্ত লোক আছ কি, যার অভাব পূরণ করা হবে। হে মঙ্গল প্রার্থী! তুমি আনন্দিত হও। হে অমঙ্গলকারী! তুমি বিরত থাক। সাবধান, নিশ্চয় মহান আল্লাহর আদেশে প্রতি রাতে সেহেরী ও ইফতারের সময় জাহান্নাম হতে সাত হাজার লোক মুক্তিলাভ করে যারা শাস্তির যোগ্য হয়েছিল। এতে বুঝা যায় আল্লাহপাকের নির্দেশিত রমজানের রাজা সঠিকভাবে পালন করতে পারলে ইহকাল
ও পরকালে মুক্তি পাওয়া যাবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আমাদের সকলকে পবিত্র আল কোরআন এবং হাদিস শরীফের আলোকে রোজা ও রমজানের অর্পিত কাজের মাধ্যমে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করার তাওফিক দান করুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদায় কিংবদন্তী কবরী
পরবর্তী নিবন্ধএকদিনে রেকর্ড ১০১ মৃত্যু