বাংলা পঞ্জিকা মতে-পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। সেই হিসেবে শীতের মৌসুম হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। শীতকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরাও শুরু করে দিয়েছেন প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে নগরীর মার্কেটগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতের পুরোনো কাপড়। ব্যবসায়ীদের ভাষায় এসব গাইডের কাপড় নামে পরিচিত। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এসব কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকে। নগরীর গাইড কাপড়ের দোকান খাতুনগঞ্জ এবং জহুর হকার্স মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে আমদানিকৃত শীতের পুরাতন গাইডের কাপড় আসতে শুরু করছে। এসব পণ্য খুলে বেছে বেছে আলাদা করা হচ্ছে। আলাদা করে শো রুমে সাঁটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। একেক গাইডে একেক ধরনের শীতের কাপড় থাকে। মূলত কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ব্ল্যাজার এবং লংকোট থাকে। পাইকারি বাজার থেকে এসব পুরাতন কাপড় সংগ্রহ করে ভ্রাম্যমাণ হকাররা বিভিন্ন অলিগলিতে বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া চট্টগ্রামের পার্শ্ববর্তী জেলা এবং উপজেলা থেকেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এসব কাপড় কিনতে ছুটে আসেন।
গাইড ব্যবসায়ীর জানান, বিদেশিরা একবার পরেই অনেক কাপড় ফেলে দেন। সেগুলো আমাদের দেশে আমদানি করা হয়। তবে নামে পুরনো কাপড় হলেও অনেক দেখতে নতুনের মতোই লাগে। আমদানি খরচ কম হওয়ায় ক্রেতারাও কম দামে সেইসব কিনতে পারেন।
জহুর হকার্স মার্কেটের কুদ্দুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল কুদ্দুস দৈনিক আজাদীকে বলেন, শীতের গাইড কাপড় বা পুরনো কাপড়ের ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে আবহাওয়া উষ্ণ থাকায় ব্যবসা খুব বেশি ভালো হয়নি। এর মধ্যে ছিল করোনার ধাক্কা। তবে এবার যেহেতু করোনার ঝামেলা নাই, তাই আশা করি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। আমি অনেক বছর ধরে পুরনো কাপড়ের ব্যবসা করছি। এসব কাপড় তাইওয়ান, কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা হয়। তবে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় মুনাফাও আগের চেয়ে কমে গেছে।
খাতুনগঞ্জের গাইড ব্যবসায়ী আবু সায়েম বলেন, পুরনো কাপড়ের আমদানি করতে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। কাপড় আমদানি করে সেগুলো আবার ভালো খারাপ বাছাই করতে হয়। কারণ সব কাপড় ভালো থাকে না।