মামলার হুমকিকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন অনন্ত জলিল

| শনিবার , ২০ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে মামলার হুমকি দিয়েছেন ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার ইরানি পরিচালক-প্রযোজক মুস্তফা অতাশজমজম। তবে অনন্ত জানিয়েছেন, চুক্তিতে যেভাবে যা উল্লেখ ছিল, তিনি সেভাবেই সব করেছেন। এছাড়া বিষয়টিকে তিনি ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক লিখিত বক্তব্যে বিষয়টি জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। খবর বাংলানিউজের।
লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট বলতে চাই, চুক্তিতে যেভাবে যা কিছু উল্লেখ ছিল সে অনুযায়ীই আমি কাজ করেছি। যদি আমার কাছে তিনি ১০০ টাকাও অর্থাৎ কোনো অর্থ পাওনা থাকতেন, তাহলে তিনি কি আমাকে সিনেমার সম্পূর্ণ ফুটেজ দিতেন? কিংবা ফুটেজ না পেলে আমি কি মুক্তি দিতে পারতাম? যেহেতু তার কাছেই শুটিংয়ের পর সম্পূর্ণ ফুটেজ ছিল এবং এখনও রয়েছে! নিশ্চয়ই তার অনুমতি এবং সম্পূর্ণ সম্মতিতেই আমি সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছি। এখন তার অবান্তর অভিযোগ মূলত আমাকে ও আমার দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ছোট করার অপপ্রয়াস বলে আমি মনে করি। অনন্ত জলিল দাবি করে বলেন, গত কোরবানি ঈদে ‘দিন: দ্য ডে’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা এবং সেটা দেশ থেকেই। আমি মনে করি, এটাও তেমনই একটি ষড়যন্ত্র। এরপরও মুর্তজা সাহেবের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করতে পারি (যদিও আমি চুক্তির বাইরে কিছু করিনি সেটা আগেই বলেছি)। তিনি বাংলাদেশি কারো পরামর্শে কিংবা নিজের প্রচারের স্বার্থে যদি ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে আমিও দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনী ব্যবস্থা নেব। কারণ, একই চুক্তিপত্র আমার কাছেও রয়েছে।
বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, দিন : দ্য ডে’র শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে ইরান থেকে। শেষ হয় ২০২০ সালে। বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে আমরা সিনেমাটির শুটিং করি। আমি শুরুতেই বলে এসেছি, এ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইরান। আমার সঙ্গে চুক্তি আছে যে, সিনেমাটির বাংলাদেশে যেসব কাজ হবে (শুটিং, ডাবিং) সেটার ব্যয়ভার আমি বহন করবো। এবং আমি সেটাই করেছি। চুক্তি অনুযায়ী ইরানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুটিংয়ের খরচ বহন করবে ইরানি প্রযোজক। ইরান যে সিনেমাটির মূল প্রযোজক সেটা পরিচালকই তার স্ট্যাটাসে দেওয়া একটি বাক্যের (আমি ছিলাম সিনেমাটির মূল প্রযোজক) মাধ্যমে স্বীকার করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাবিদারহীন ও পরিত্যক্ত শিশুর ঠিকানা
পরবর্তী নিবন্ধসনেটের সঙ্গে প্রেম করছেন ববি