মান বেড়েছে হালদার পানির

৫ পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা এবারো ভালো ডিম পাওয়ার আশা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীর পানির মানোন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এবার মাছের ভালো ডিম পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর উপরোক্ত মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে।
হালদা গবেষক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নদীর স্পনিং গ্রাউন্ডের অঙ্গুরীগোনা, নোয়াহাট, নাপিতেরঘাট, আজিমারঘাট ও রামদাসঘাট পয়েন্ট থেকে পানি সংগ্রহ করেন। উপরোক্ত পাঁচটি পয়েন্টের পানিই পরীক্ষা করে বেশ ভালো অবস্থা পাওয়া গেছে। ড. শফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষায় পানির তাপমাত্রা -২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাওয়া গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় যা ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি থাকা উচিত। পরীক্ষায় পানির স্বচ্ছতা পাওয়া গেছে ৩৫ সেমি। যা ১৫ থেকে ৪০ সেমি থাকে। পানিতে তড়িৎ পরিবাহিতা পাওয়া গেছে ১২১ মাইক্রোসিমেন্স/সেমি। যা ৩৫০ মাইক্রোসিমেন্স/সেমি থাকে। টিডিএস পাওয়া গেছে ৬০ পিপিএম, যা ১০০০ পিপিএম পর্যন্ত থাকে। পিএইচ পাওয়া গেছে ৭.৪ যা ৬.৫ থেকে ৮.৫ মধ্যে থাকে। পরীক্ষায় পানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দ্রবীভূত অঙিজেন পাওয়া গেছে ৫.৯ মিলিগ্রাম, যা ৫ মি গ্রা/লি থাকলে পানিকে স্বাভাবিক ধরা হয়। কার্বন ডাই অঙাইড পাওয়া গেছে ৫ মি গ্রা/লি। যা স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম থাকে। উক্ত পাঁচটি পয়েন্ট থেকে নেয়া প্রতি লিটার পানিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া গেছে ৯.৬ মিলিগ্রাম। যা স্বাভাবিক অবস্থায় ৩৬ মিলিগ্রাম থাকে। প্রতি লিটার পানিতে খরতা পাওয়া যায় ৪৫ মিলিগ্রাম। যা স্বাভাবিক পানিতে ২০০ থেকে ৫০০মিলিগ্রাম পর্যন্ত থাকে। ক্ষারকত্ব পাওয়া গেছে ৩৫ মিলিগ্রাম। যা স্বাভাবিক পানিতে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত থাকে। মা মাছের ডিম ছাড়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দেয়া লবণাক্ততা পাওয়া গেছে ০.০৫ পিপিটি। যা স্বাভাবিক অবস্থায় পানিতে ০.০৫ পিপিটিই থাকে।
ড. শফিক বলেন, ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ হালদা নদীর যে পয়েন্টগুলোতে মা মাছ ডিম ছাড়ে সেখানে পানির মান বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে তা যদি ঠিকঠাকভাবে ধরে রাখা যায় তাহলে এবার ভালোই ডিম পাওয়া যাবে। পানির বিভিন্ন প্যারামিটার বিশ্লেষণ করে ড. শফিক বলেন, হালদা নদীতে মাছ ডিম ছাড়ার পয়েন্টগুলোর পানিতে বিভিন্ন উপকরণ প্রত্যাশিত মাত্রায় রয়েছে। পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এবার ভালো পরিমাণে মাছের ডিম পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিশেষজ্ঞ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাড়ি সরবরাহ না করায় দিনভর বন্ধ ময়লা অপসারণ কার্যক্রম
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত