মানবিক সমাজ বিনির্মাণে জীবনঘনিষ্ঠ ছোটগল্প অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

| সোমবার , ৩০ মে, ২০২২ at ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

 

ছোটগল্পের স্বভাবধর্মই হলো যাপিত জীবনের সঙ্কট, সম্ভাবনা ও পরিণতিকে উন্মোচন করা। এই স্বভাবধর্মই ছোটগল্পকে ক্রমশ জীবনঘনিষ্ঠ করে তুলেছে। সমাজের অসঙ্গতি, সঙ্কট, স্ববিরোধিতা, সাধারণ মানুষের মোলিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কথা বলতে ছোটগল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমকালীন বাংলা গল্পবিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘গল্পকার’ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক ওমর কায়সার, আনোয়ারা আলম, বাদল সৈয়দ, মোহীত উল আলম, হরিশংকর জলদাস, আহমেদ মাওলা, আজাদ বুলবুল, এবং গল্পকার সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন। আলোচকরা বলেন, সামাজিক অবক্ষয় থেকেই একাকিত্ব, বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরে ব্যক্তিজীবনকে। প্রবলভাবে জীবনঘনিষ্ঠ শিল্পমাধ্যম হিসেবে ছোটগল্পে ব্যক্তিজীবনের এই সঙ্কটগুলোকে তুলে আনা জরুরি। চলমান রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, সংস্কৃতির বাঁকবদল ও অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের প্রভাব নির্মোহভাবে নিরীক্ষার মাধ্যমে গল্পে উঠে আসে যা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গল্পের ভাব, ভাষা, বিষয়বস্তু ও নির্মাণশৈলী সমকালীন না হলে পাঠক গল্পপাঠে নিষ্ঠা অর্জন করতে পারেন না। গোলটেবিলের উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক হাফিজ আল ফারুকী, সাইদুল আরেফীন, আলমগীর শিপন, আলী আসকর, গাজী ফারুক আহমদ পৃথ্বী, মহি মুহাম্মদ, তাসমিমা মমতাজ, মাসমিমা মমতাজ, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন গল্পকার সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কবি রেহানা পারভীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদরাসায় সভা ও দোয়া মাহফিল ‘দৃষ্টিহীনরাও দেশের সম্পদ হতে পারে’
পরবর্তী নিবন্ধহালদা থেকে মা মাছ উদ্ধার ও ২ হাজার মিটার জাল জব্দ