মাদক চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমনে দুদেশের ঐকমত্য

টেকনাফে বিজিবি-বিজিপি সীমান্ত সম্মেলন

টেকনাফ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৬ মে, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের ২ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশমিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ফলপ্রসূ এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান মিয়ানমার হতে অবৈধভাবে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে তাদের সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আশ্বস্থ করেন।

এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন ও দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহতকরণ, মিয়ানমার কর্তৃক সীমান্তে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) স্থাপন, বাংলাদেশমিয়ানমার সীমান্ত চুক্তি১৯৮০ অনুযায়ী অসতর্কতা/ভুলবশত অথবা ঝড়ের কবলে পড়ে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের ফলে আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিঁয়াজো অফিসের (বিএলও) কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, উভয় বাহিনীর মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগ স্থাপনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশমায়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে সম্মেলনে। টেকনাফে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমউসসাকিব। অপরদিকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এইচটেট লুইনের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী কমিটির বর্ধিত সভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধ১৪ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু