মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা দ্বীপের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

মহেশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

পূর্ণিমার ভরা কাটালে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া জোয়ারের পানিতে গতকাল শনিবার আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ডুকে প্লাবিত হয়েছে কঙবাজারের মহেশখালী উপকূলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা। এতে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২ হাজার পরিবারের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বঙ্গোপসাগরের একেবারে তীরবর্তী বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীরা। বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে সকাল-বিকাল জোয়ারের পানি এসে ডুবছে নতুন নতুন বসতি।
মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, সকালে পূর্ণিমার ভরা কাটালে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭০নং পোল্ডারের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে মাতারবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা বাড়ি ঘর ও ২০টির মতো চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, গত পাঁচ বছরে তিল তিল করে উন্নয়নে গড়ে তোলা ইউনিয়নের অবকাঠামো মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে গেল। হেরে গেলাম প্রকৃতির নির্মম করালগ্রাসে। পূর্ণিমার বর্ধিত জোয়ারের পানিতে ধলঘাটা ইউনিয়নের সরইতলা গ্রামের বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ দিয়ে পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০টির অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার। তিনি জরুরিভিত্তিতে ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ মেরামতের দাবি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিয়ের চার মাসের মাথায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর ছনুয়াসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত