বাঁশখালীর ছনুয়াসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

পূর্ণিমার কারণে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ও বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে বতমানে চারা ধানসহ বিভিন্ন ফসল ও বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা জানান পূর্ণিমার কারণে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে পানির উচ্চতা অনেক সময় বাড়ে আবার অনেক সময় কমে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকতার চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেঁড়িবাধ উপড়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করলেও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তারা জানান ।
ছনুয়া এলাকার লায়ন আমিরুল হক ইমরুল জানান, ছনুয়া সরলিয়া ব্রীজের উত্তর অংশে ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মৌলভী নজরুল ইসলাম পাড়া এলাকায় জলকদর খালের উপর ১০০ মিটারের মতো বেড়িবাঁধ উপচে সেই অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। জলকদর খালের উপর বেড়িবাঁধ অনেক অংশে নিচু হওয়ায় বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি ৭/৮ফুট বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। উপকূলীয় খানখানাবাদ এলাকায় কোথাও জোয়ারের পানি প্রবেশ করেনি বলে জানান খানখানাবাদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদরুদ্দিন চৌধুরী ।সাধনপুর ইউনিয়নের বৈঁলগাও এলাকায় জোয়ারের পানিতে কিছু ধানী জমি প্লাবিত হয়েছে বলে জানান সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা।
ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ জানান, বঙ্গোপসাগরে পুর্ণিমার কারণে জোয়ায়ের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যে সব এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই এবং নিচু হয়ে গেছে সে সব এলাকা দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে ছনুয়াসহ কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এই বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ি ও ধলঘাটা দ্বীপের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে স্কুলছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গেল গ্রামের পুকুরে