ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ভ্রূণ হত্যার মাধ্যমে মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন সাজু আক্তার নামের এক নারী। গতকাল বুধবার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে স্বামী কাজী সফিউল আলম নামের প্রবাসী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। আদালতও মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং নগরীর চান্দগাঁও থানাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ার খিলমোগল খামারিপাড়া হোসনাবাদ এলাকার কাজী সফিউল আলমের সাথে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় উত্তর পদুয়া এলাকার সাজু আক্তারের। বিয়ের কিছু দিন পরেই জানা যায় পাশের এলাকার এক নারীর সাথে প্রেমে আসক্ত সফিউল। ইতোমধ্যে বিদেশেও চলে যায় সে। এদিকে সাজু আক্তার সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে সফিউলের পরামর্শে মা নুর আয়েশা এবং বোন তাসলিমা ও পারভিন মিলে চন্দ্রঘোনার এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। একপর্যায়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে বহদ্দারহাটের ফরিদার পাড়ায় বোনের বাসায় চলে যায় সাজু আক্তার। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট সফিউলও বিদেশ থেকে এসে সেখানে উঠে। সাজুকে আগের সব কিছু ভুলে গিয়ে আবারো নতুন করে সব শুরু করার জন্য বললে সাজুও সব ভুলে আবার নতুন জীবন শুরুর আশায় আগের সব ভুলে যায়। এক পর্যায়ে আবারো সন্তান সম্ভবা হয় সাজু। এবারও আগের মতো সফিউল তার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলার কথা বললে সাজু তাতে রাজী হয়নি। এতেই বাধে বিপত্তি। সাজুর উপর নেমে আসে আবারো নির্যাতন। একপর্যায়ে তালাকের হুমকিও দেয়া হয় সাজু আক্তারকে।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, সন্তান সম্ভবা হয়েও স্বামী আর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চক্রান্তে মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন সাজু আক্তার। কখনো জ্বর, কখনো সর্দির ওষুধ আবার কখনো বা ভিটামিন ওষুধের নাম করে ওই নারীকে ভ্রূণ হত্যার ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসাক্ষীকে জেরা করতে রানা দাশগুপ্তের অস্বীকৃতি