ভোজ্যতেলের বাজারে আরো দরপতন

তেল নিয়ে তিন জাহাজ বন্দরে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ মার্চ, ২০২২ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হাজার হাজার টন আমদানির খবরে ভোজ্যতেলের বাজারে আরো দরপতন হয়েছে। পাইকারিতে ভোজ্যতেলের অব্যাহত দরপতনে ভোক্তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে দুদিনের ব্যবধানে পাম ও সয়াবিন তেলের দরপতন হয়েছে যথাক্রমে ৩৫০ ও ২০০ টাকা। এর আগে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে ২০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মওকুফের ঘোষণা দেয়ায় পাম ও তেলের বাজারে বড় দরপতন হয়।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ক্রেতা নেই। আমদানিতে ভ্যাট কমানোর প্রভাবে অনেক ক্রেতা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এছাড়া আমদানি বাড়ার কারণে আরো দরপতন হতে পারে-এমন আশঙ্কায় তারা তেল কিনতে আসছেন না। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদিন আগে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ টাকায়। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৫০ টাকায়। অন্যদিকে দুদিন আগে প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৫ হাজার ৮০০ টাকায়। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ টাকায়।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১০ মার্চ এক জাহাজে টিকে গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল ৫ হাজার টন, বে শিপিং করপোরেশন ২ হাজার ৯৭৫ টন এবং সুপার রিফাইনারির ৮ হাজার টনসহ মোট ১২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি হয়। এছাড়া এমটি প্যাসিফিক রুবি নামের অপর একটি মাদার ট্যাংকারে মোট ২০ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে আসে মেঘনা গ্রুপের মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারির এবং সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন সিটি এডিবল অয়েল। অন্যদিকে এমটি স্ট্যাভেঞ্জার পাইওনিয়ার নামের অপর এক মাদার ট্যাংকারে করে ৪২ হাজার ৮৫০ টন সয়াবিন আনে সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, সেনা এডিবল অয়েল, বালাদেশ এডিবল অয়েলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ভোজ্যতেলের দরপতনের বিষয়ে জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন আজাদীকে বলেন, মূলত আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর প্রভাবে ভোজ্যতেলের বাজার কমছে। আন্তর্জাতিক বাজার কিন্তু এখনো অনেক বাড়তি। ভোজ্যতেল আমদানির খবরে তেলের বাজারে ক্রেতা নেই। এতেও বাজার কমতির দিকে। এছাড়া প্রশাসনের অভিযানের কারণেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, তেলের বাজারে দরপতনের কারণে এখনই স্বস্তি অনুভব করার কিছু নেই। খুচরা বাজারে এখনো পাইকারি বাজারের দরপতনের প্রভাব পড়েনি। সরকারকে অবশ্যই বাজার মনিটরিং চালু রাখতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রাহক সেবা বাড়িয়ে নতুন সংযোগের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধতিন সহোদরের ৫ মাসের সাজা