ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বা মজুদ করলে যাবজ্জীবন

| মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ওষুধ আইন ২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আওতায় ওষুধের লাইসেন্সহীন উৎপাদনে ১০ বছর সাজা; মজুদ কিংবা ভেজাল করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগে আইনটি ছিল ওষুধ নিয়ে। এই আইনে কসমেটিক্সকে ফোকাস করা হয়েছে। আইনের আওতায় কিছু কিছু ওষুধের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খবর বাংলানিউজের।

তিনি বলেন, বর্তমানে এ বিষয়ে আমাদের দুটি আইন আছে। একটি হলো ‘দ্য ড্রাগস অ্যাক্ট, ১৯৪০’। আরেকটি ‘দ্য ড্রাগস কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’। এ দুটোকে এক করে এবং এর সঙ্গে আরও নতুন কিছু যুক্ত করে আইনটি করা হয়েছে। এর আগে খসড়া আইনটি ২০২২ সালের ১১ আগস্ট নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেটি আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে আজকে অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনগুলোয় শুধুমাত্র ওষুধকে ফোকাস করা হয়েছিল, নতুন খসড়ায় কসমেটিকসকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ আইনের নাম হবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩’। এ নামেই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। মাহবুব হোসেন আরও বলেন, নতুন আইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নতুন ওষুধ, ভ্যাকসিন ও মেডিকেল ডিভাইস ডেভেলপ করা। ট্রায়াল চারটি ধাপে যাতে করা হয় সেটি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে যাবজ্জীবন পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া যাবে। নকল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি, বিতরণ বা বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন করলে যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ওষুধ ভেজাল করলে বা ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি ও মজুত করলে এক্ষেত্রেও যাবজ্জীবন শাস্তি পেতে হবে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সে উল্লেখিত শর্ত না মেনে ওষুধ উৎপাদন করলে; নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রি, বিতরণ, প্রদর্শন করলে; সরকারি ওষুধ বিক্রি বা বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত বা প্রদর্শন করলে; লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্ত না মেনে ওষুধ আমদানি করলে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও স্টল দুটোই বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধতিন বছর পর রেলের জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন