এক লাখ টনেরও বেশি গম নিয়ে ভারত থেকে দুইটি গমের জাহাজ এসেছে বন্দরে। এরমধ্যে গত সপ্তাহে ৫২ হাজার ৫শ’ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ আসার ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দ্বিতীয় জাহাজটি বহির্নোঙরে নোঙর করে। আগামীকালের মধ্যে এ গম দেশের সরবরাহ নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক লাখ টনেরও বেশি গম দেশে আসার প্রেক্ষিতে চড়া হয়ে ওঠা বাজার নিম্নমুখী বলেও সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের গমের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এর মাঝে ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারত গম রপ্তানি করবে। এই ঘোষণায় দেশের গমের বাজারে স্বস্তি আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ভারত থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন সরকারি গম নিয়ে ‘এমভি ভি স্টার’ নামের একটি জাহাজ বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ সনদসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আগামীকালের মধ্যে এ সব গম লাইটারিং করা হবে। সরকারি এ সব গম খাদ্য বিভাগের সাইলো জেটিতে খালাস করার পর দেশের সরবরাহ নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহেও ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে এমভি ইমানুয়েল সি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুল কাদের কয়েকদিনের মধ্যে ১ লাখ ৫ হাজার টন গম আসার কথা স্বীকার করে বলেন, সরকারিভাবে এ গম দেশে এসেছে। এগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে দেশের সরবরাহ নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। আরো দুইটি গমের জাহাজ এক লাখ টনেরও বেশি গম নিয়ে আগামী দিন কয়েকের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে বছরে গড়ে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ টন গম উৎপাদন হয় দেশে। বাকিটা আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক লাখ টনেরও বেশি গম বাজারে আসায় ঊর্ধ্বমুখী গমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। দিনকয়েক আগে প্রতি মন ১৬শ’ টাকায় বিক্রি হওয়া গম গতকাল ১৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
