ভাতা বাড়ানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

প্রাইভেট পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার ।। ‘২০ হাজার টাকায় সংসার চলে না’

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৯ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চট্টগ্রামেও কর্মবিরতি পালন করছেন প্রাইভেট পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তাররা। কর্মসূচি পালনে কর্মস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে গতকাল শনিবার সকালেই বের হয়ে যান তারা। আর কাজে যোগ দেননি। চমেক হাসপাতালে সবমিলিয়ে প্রায় আড়াইশ জনের মতো প্রাইভেট পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার রয়েছেন। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে গতকাল সকাল থেকেই তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

আন্দোলনকারী ট্রেইনি ডাক্তাররা বলছেন, তাদের পোস্ট গ্রাজুয়েট (এফসিপিএস/এমডি/এমএস/ডিপ্লোমা) কোর্স দুই বছরের। বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ পর্যায়ের হাসপাতালে এসব কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। কোর্সের অংশ হিসেবে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করতে হয় ট্রেইনিদের। এসময় ট্রেইনি ডাক্তারদের মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। এই দুর্মূল্যের বাজারে ২০ হাজার টাকায় কোনোভাবেই একটি সংসার চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া ট্‌্েরইনি ডাক্তারদের বাইরে প্র্যাকটিস করার সুযোগও রাখা হয়নি। তাই মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন ট্রেইনি ডাক্তাররা।

আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বেতনভাতা বৃদ্ধির এ দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কেবলই মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। যাতে সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। তাই তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী প্রাইভেট পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।

আন্দোলনরত একাধিক ট্রেইনি ডাক্তার বলছেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে আমাদের সবচেয়ে কম ভাতা। এই ভাতা নিয়ে আমাদের সংসার চালানো কোনোভাবেই সম্ভব না। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, বেতনভাতা বৃদ্ধি করে আমাদের বাঁচতে দিন। বুঝতে হবে কখন চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী রেখে রাস্তায় নামে, এটা চিকিৎসক সমাজের জন্য লজ্জার।

এদিকে, ট্রেইনিদের কর্মবিরতি কর্মসূচির কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় প্রভাব পড়ছে না বলে দাবি করেছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি আজাদীকে বলেন, ওয়ার্ডে সরকারি চিকিৎসক রয়েছে। ট্রেইনিদের স্থলে সরকারি চিকিৎসকরাই এখন অতিরিক্ত ডিউটি করছেন। তাই এখন তেমন প্রভাব পড়ছে না। তবে কর্মবিরতি দীর্ঘমেয়াদি হলে প্রভাব পড়বে। যদিও ট্রেইনিদের কর্মসূচি দীর্ঘমেয়াদি হবে না এবং দ্রুত তারা কাজে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল পরিচালক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
পরবর্তী নিবন্ধলাখো নাগরিকের তথ্য ফাঁস!