ব্যবসায়ীকে অপহরণ মামলায় ছয় পুলিশ খালাস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ছয় পুলিশ সদস্যকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ, মো. মাসুদ, শাকিল খান, এস্কান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও আবদুল নবী। গতকাল চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তারা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. রবিউল আলম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় বাদীসহ ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন বিচারক। এদের কেউ ছয় পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করতে পারেননি। ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে ভালো মতো সাক্ষ্য দিতে পারেননি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ছয় পুলিশ সদস্যকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু সাক্ষীরা পর্যাপ্ত সাক্ষ্য দিতে না পারায় ছয় পুলিশ সদস্য পার পেয়ে গেছেন।

২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ছয় পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে আনোয়ারা থানায় মামলাটি দায়ের করেন আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যবসায়ী। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ থেকে ডিবির জ্যাকেট পরা ছয় পুলিশ সদস্য তাকে অপহরণ করে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া এলাকায় নিয়ে আটকে রাখেন। থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে ১ লাখ ৮০ হাজার দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, এ মামলা তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন বিচারক।

জানা যায়, মামলার পর ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতে পাঠালে শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এদের মধ্যে কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ তৎকালীন নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী ছিলেন। অন্যদের মধ্যে মো. মাসুদ তৎকালীন নগর পুলিশের উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী ছিলেন। শাকিল খান ও এস্কান্দার হোসেন নগরীর দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত ছিলেন। মনিরুল ইসলাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর এবং আবদুল নবী নগর গোয়েন্দা পুলিশে (উত্তর) কর্মরত ছিলেন। তারা সবাই কনস্টেবল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করবেন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচির নিদ্রায় শায়িত মোছলেম উদ্দিন