সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের বরণ করা হলো রাজকীয় অভ্যর্থনায়। ছাদখোলা বাসে করে নিয়ে যাওয়া হলো বাফুফে ভবনে। তুমুল আনন্দ আর উল্লাসের মাঝেই কথা উঠেছে, নারী ফুটবলারদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে। নারী ফুটবলাররা যতই সাফল্য এনে দিক না কেন সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির দিক থেকে তারা পুরুষ ফুটবলারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। অথচ গত দুই দশকে পুরুষ ফুটবলে কোনো সাফল্য বলতে নেই। সেখানে বয়সভিত্তিক ফুটবলে মেয়েরা অদম্য একটি দলে পরিণত হয়েছে। আর সেখান থেকে মেয়েরা উঠে এসেছে জাতীয় দলে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেরা দলে পরিণত হয়েছে নেপালকে ফাইনালে ৩-১ গোলে হারিয়ে। তবে সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে। সেখানেই মিললো প্রতিশ্রুতি। নারী ফুবলারদের বাফুফে সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে।
বাফফে সভাপতির সঙ্গে দেখা করে আসার পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, আমরা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা আমাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো জানিয়েছি। তিনি তা পূরণ করার কথা দিয়েছেন।’ সভাপতির কাছে বেতন বাড়ানোর কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের বেতন বাড়ানোর কথা বলেছি। তিনি আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। শিগগির বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। বেতন বাড়ানোর পর তার অংক কেমন হতে পারে জানতে চাইলে সাবিনা বলেন, অংকটা কেমন হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে সম্মানজনক একটি অবস্থানে নেওয়া হবে তা বলা হয়েছে। বেতন-ভাতার আওতায় থাকার কারণে নিজেদের সৌভাগ্যবান বলেও মেনে নিয়েছেন সাবিনারা। নারী দলের অধিনায়ক বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশে ক্রিকেট এবং ফুটবল ছাড়া অন্য কোনো নারী দলের খেলোয়াড়রা বেতন পান না। আমরা সেদিক থেকে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি।
