বিষাক্ত রং মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ

মীরসরাইয়ে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১৪ মে, ২০২২ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট মাছ বাজারে বিষাক্ত রং মিশিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছ। রং মেশানো এসব মাছের মধ্যে রয়েছে পোপা, লইট্যা, ছোট চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। ক্রেতারা তাজা মাছ মনে করে বেশি দাম দিয়ে এসব বিষাক্ত রং মেশানো মাছ কিনে নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সরেজমিন দেখা যায়, বারইয়ারহাট মাছ বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে রং মেশানো মাছ। কিন্তু চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও এর প্রতিকারে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় মৎস প্রশাসন। সাগর থেকে মাছ তীরে নিয়ে এসে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিলে মাছে পঁচন ধরলে সেই মাছ সাদা হয়ে যায়। এতে ক্রেতারা পচা মাছ বলে ক্রয় করতে চায় না তাই ব্যবসায়ীরা মাছে বিষাক্ত লাল রং মেশান। এসব রং শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক।

একজন ক্রেতা জানান, প্রায়ই এখানে পঁচা মাছই কিনে এনে বিক্রেতারা রং মিশিয়ে বাজারে নিচ্ছে এতে ক্রেতারা তাজা মাছ ভেবেই কিনে রান্না করে পঁচা মাছ খাচ্ছে। লইট্টা মাছগুলো ফিটকিরি বা আরো কিছু দিয়ে উপর থেকে চকচকে ভাব দেখে বাড়ি নিয়ে রান্না করলে সব মাছ খুলে যায়। এভাবে হচ্ছে সবসময়।

এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নাছিম আল মাহমুদ বলেন, আমরা রং মেশানোর বিষয়টি নিয়ে লোকবলের অভাবে উদ্যোগ নিইনি। তবে এখন যেহেতু অভিযোগ পাচ্ছি তাই উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

জানা যায়, অনেক সময় পচা মাছে কৃত্রিম রং মেশানো হয়। এক্ষেত্রে মাছের মুখ, ফুলকা, চোখ, বুকের পাখনা ও পেটের দিকে চকচকে রঙিন দেখলে বুঝবেন এতে রং মেশানো হয়েছে। এসব মাছ রান্না করার পরও এর বিষাক্ততা কমে না। ফরমালিন ও কৃত্রিম রঙ দেওয়া মাছ খেলে কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বদহজম, পেটের পীড়া, ডায়ারিয়া, গ্যাস্টিক, আলসার, হৃদরোগ, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস জনিত রোগও দেখা দিতে পারে। তাই মাছ কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনা উচিত। সব মিলিয়ে এই বিষয়ের প্রশাসনের কঠোর উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন সচেতন মহল। মীরসরাই উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নাছিম আল মাহমুদ বলেন, উপজেলার সকল বাজারে কিছুদিন পর পর অভিযান পরিচালিত হয়। আবারো অভিযান এর উদ্যোগ এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘মামলা করায়’ সাংবাদিকের ওপর হামলা
পরবর্তী নিবন্ধসেই হাতি এখন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে