বিলাসবহুল ৭৯ গাড়ি উঠছে নিলামে

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল ৭৯টি গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) ই-অকশন কিংবা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে অংশ নিতে পারবেন। গতকাল দৈনিক আজাদীকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রিভেন্টিভ শাখার উপ-কমিশনার মো. মাহফুজ আলম।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, নিলামে আগ্রহীরা আগামী ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে রাখা গাড়িগুলো অফিস সময়ে সরেজমিন দেখতে পারবেন। এর জন্য তিন দিন আগে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি নির্দিষ্ট মেইলে বা হোয়াটসআপ নম্বরে পাঠাতে হবে। ই-অকশনে দরপত্র দাখিলের সময় ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। দরপত্রের বাঙ থাকবে কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন), জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ১৩৮ নম্বর কক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ ও সিলেট কাস্টমস এঙাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, মোংলা কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায়। দরপত্র জমা দেওয়া যাবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা পর্যন্ত।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার সন্তোষ সরেন দৈনিক আজাদী বলেন, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেঙাস ও মিটসুবিশি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির জন্য ইতোমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) সংগ্রহ করেছে। তাই গাড়ির ক্রেতাকে মন্ত্রণালয় থেকে সিপি নিতে হবে না। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের জুনে মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, জাগুয়ারের মতো বিলাসবহুল ১০৮টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়।
নিলামে মোট ৫৬৭ জন দরদাতা অংশ নেন। গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম কমিটি দরপত্রে উল্লেখ করা দর এবং আগের নিলামের দর বিবেচনায় নিয়ে ৩৪টি গাড়ির নিলাম অনুমোদন করেছে। এর আগে গত ২০২১ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর বিলাসবহুল ১১২টি গাড়ির নিলাম করেছিল। এরপর ১৬ নভেম্বর ১১০টি গাড়ি কিনতে আগ্রহী সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়; যেখান থেকে সরকারি নিয়ম মেনে তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আমদানির সুবিধা দেয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট সময় পর আবার সেগুলো ফিরিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশে যারা শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে এ সব গাড়ি এনেছেন তাদের বেশিরভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের অনেকেই এ সব গাড়ি কার্নেট সুবিধায় এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সব গাড়ি আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হলে এক সময় আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাসিক চাঁদা না দেওয়ায় সিএনজিতে আগুন
পরবর্তী নিবন্ধগাড়ির মডেল ও কালার এক হওয়ায়…