বিরল মহাজাগতিক মিলন

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ২৫ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে চাঁদের সঙ্গে এক সারিতে দেখা গিয়েছিল সৌরমণ্ডলের উজ্জ্বলতম গ্রহ শুক্র এবং বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে। তারপরে আবার নতুন মহাজাগতিক দৃশ্য দেখল বাংলা। বসন্তের আকাশে আবার বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুন অবস্থানে আবির্ভাব হল শুক্র গ্রহের। সৌরমণ্ডলের উজ্জ্বলতম গ্রহটি চলে এল চাঁদের একেবারে কাছে। তারপর হারিয়ে গেল কয়েক মিনিটের জন্য!

 

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে চাঁদের সঙ্গে এক সারিতে দেখা গিয়েছিল শুক্র এবং সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে। এবার চাঁদের তলায় চলে এল শুক্র। মনে করিয়ে দিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সেই ‘হিরের আংটি’র কথা। শুক্রের সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য চাঁদের আড়ালেও চলে গিয়েছিল শুক্র। কেবল বাংলাদেশেই

নয়, পশ্চিবঙ্গ থেকেও এমন দৃশ্য দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিরল ‘মহাজাগতিক মিলন’ দেখার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিঙ’এর তরফে টেলিস্কোপ এবং ক্যামেরা ব্যবহার করে হ্যানলে থেকে এই মহাজাগতিক ঘটনা ‘লাইভ স্ট্রিম’ করা

হয়েছিল। উৎসাহীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হাজির ছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় দৃশ্যটি দেখার পর খবরটি ফোনে ফোনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ এই দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণও করেছেন। জানা যায়, দৃশ্যটি দেখার পর কৌতূহলী মানুষ ফোনে ফোনে একে অপরকে দেখতে বলছে।

কেউ কেউ বলছে, আকাশে চাঁদ দেখেছি, তারা দেখেছি; কিন্তু চাঁদের নিচে তারকা কখনও দেখিনি। দেখা গেছে সন্ধ্যার পর চাঁদ যত নিচে নামছি, ‘তারা সদৃশ্য’ বস্তুটিও নিচে নামছিল। বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিক বলেন, আমিও দেখছি, অনেককেই বলছি দেখতে। আসলেই এমনটি এর আগে কখনও

দেখা যায়নি। বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক এইচ আলীম বলেন, বগুড়ার আকাশে ‘সাঈদী দেখার গুজব’ হয় কিন্তু চাঁদের নিচে তারাএটা গুজব নয়। উপভোগ করলাম দৃশ্যটি। বগুড়ার ধুনট উপজেলার মিন্টু মন্ডল বলেন, চাঁদের নিচে তারা আমার ৫০ বছরের জীবনে দেখিনি। কারণ কী?

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাহুল গান্ধীকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় আরাভ খান