বিবিআরডিসি’র প্রাক-বাজেট আলোচনায় করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ১৪ মার্চ, ২০২১ at ৪:০৪ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ বিজনেস রিসার্স এন্ড ডেভেলাপমেন্ট কাউন্সিল- বিবিআরডিসি’র উদ্যোগে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর এমএ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামস্থ একটি রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেডিএস গ্রুপের চিফ ফিনানসিয়াল অফিসার (সিএফও) ও আইসিএবি চট্টগ্রাম রিজিওনের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এফসিএ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ শামছুদ্দিন ইলিয়াছ এবং জমজম সুইটস এন্ড বেকস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আশরাফ উদ্দিন।

প্রাক বাজেট আলোচনায় বক্তারা ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে কর জাল সম্প্রসারণ, রাজস্ব খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, কর বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনায়ন এবং কর ভীতি রোধ করে করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে নানা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর স্টাফ রিপোর্টার ও বিবিআরডিসি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী সভায় সঞ্চালনা করেন। সভাপতিত্ব এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিআরডিসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কেপিআই সর্ভিস বিডি’র সিইও প্রিয় দে।

সভায় বক্তারা বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব এবং রাজস্ব সম্ভাবনাময় সুষম বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে আমাদের এই বাজেট প্রস্তাবনা সমূহ আগামী ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমকে অধিকতর অর্থবহ ও প্রতিনিধিত্বশীল করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেডিএস গ্রুপের সিএফও কামরুল হাসান এফসিএ বলেন, দেশে দুর্নীতির পাশাপাশি আরেকটি বড় সমস্যা দক্ষ জনবল। বাজেটে দক্ষ জনবল তৈরী করতে বরাদ্দ রাখতে হবে। দেশের রপ্তানি শিল্প শুধুমাত্র তৈরী পোষাক কেন্দ্রিক। রপ্তানি শিল্পে বহুমুখী পণ্যের প্রসার ঘটাতে হবে। ব্যবসায়ে গবেষণা না থাকার কারনে অনেক পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে গবেষণা খাতেও বরাদ্দ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো খুবই জরুরি ।

বিশেষ অতিথি শামছুদ্দিন ইলিয়াছ করোানার এই দু:সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খন্ডকালীন সময়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ করার প্রস্তাব করে বলেন, করোনায় অনলাইন এবং অফলাইন ব্যবসায়ে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অনলাইন ব্যবসায় করারোপ জোরদার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এখনো ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল দুর্ভাগ্যের বিষয়। তাই রিটার্ন দাখিল সহ সকল কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক করা অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষ অতিথি আশরাফ উদ্দিন তার বক্তব্যে টিআইএন ও এর হালনাগাদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার এবং করজাল সম্প্রসারণে মাস্টারপ্ল্যান করার প্রস্তাব করেন।

সভার সভাপতি প্রিয় দে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংকে আমানতের সুদের হারের মধ্যে ব্যবধান থাকার ফলে তালিকাভুক্ত ব্যাংক গুলোতে আমানত সংগ্রহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এক্ষেত্রে তিনি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এবং সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সীমা কমিয়ে আনার প্রস্তাব করেন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এরশাদ খান, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালের এসিসটেন্ট ম্যানেজার সবুজ দাস, বিজয় পাল, খায়রুল আমিন, মনজুর হোসাইন, রক্তিম দেব, সাগর নন্দী, শাখাওয়াত হোসেন, সঞ্জয় ঘোষ, ইমরান হোসেন, রাশেদুল হাসান মামুন, পলাশ সুশীল, জিয়াউল হক, বিটু চন্দ্র দে প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে ভাল্লুকের আক্রমণে বৃদ্ধ আহত
পরবর্তী নিবন্ধসপরিবারে করোনা আক্রান্ত এমপি নিজাম হাজারী