বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

হতশ্রী ব্যাটিং, দুর্বল ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিসের মহড়া সব মিলিয়ে হারতে হলো সিলেটকে। গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৪ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। গতবার সহ তিনবার শিরোপা জেতা কুমিল্লার সামনে এখন চতুর্থ শিরোপা জয়ের হাতছানি। আর মাত্র একটি ম্যাচ দূরে রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জয়ের লক্ষ্য পূরণে। এদিকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারলেও এখনো ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সিলেটের সামনে। এলিমিনেটর পর্বে জয় পাওয়া রংপুর রাইডার্সকে হারাতে পারলেই কুমিল্লার বিপক্ষে ফাইনালে খেলবে সিলেট। এখন সে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট সিঙার্স শুরুটা করে একেবারেই বাজে। ৬ রানেই ফিরেন আফগান ক্রিকেটার শফিকুল্লা গাফারি। একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোরার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের ওভারে জাকির হাসান যখন ফিরেন তখন সিলেটের স্কোর ৩ উইকেটে ১৬। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে যোগ দেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৫৬ রান যোগ করেন দুজন। ১৭ বলে ২টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করে ফিরেন মাশরাফি। পরের ওভারে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ২৯ বলে করেন ৩৮ রান। পরের বলেই রানের খাতা খোলার আগে ফিরে রায়ান বার্ল। আবার বিপর্যয়ে সিলেট। তখন হাল ধরেন মুশফিক। জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে ৩৯ রান যোগ করেন মুশফিক। ২২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করে ফিরেন মুশফিক। কিন্তু দলকে এনে দিতে পারেননি লড়াই করার মত পুজি। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি সিলেট। ১৭ বল বাকি থাকতে ১২৫ রানে অল আউট হয় মাশরাফির দল। ১৪ বলে ১৩ রান করেন জর্জ লিন্ডে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

১২৬ রানের ছোট লক্ষ্য। সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড়ের বেগে শুরু করেছিলেন লিটন দাশ এবং সুনীল নারাইন। ২৪ বলে ৩২ রান তুলে নেন উদ্বোধনী জুটিতে। কিন্তু হঠাতই ছন্দ পতন। ৩২ থেকে ৫৮ রানে যেতে নেই তিন উইকট। ফিরেছেন লিটন, নারাইন এবং চার্লস। ৭ রান করে ফিরেন লিটন। এরপর সুনীল নারাইন ফিরেন ১৮ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। মেরেছেন ৩টি চার এবং চারটি ছক্কা। পরের ওভারে জনসন চার্লস ফিরেন ৪ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে। ইমরুল কায়েষ এবয় মোসাদ্দেক মিলেও স্বস্তিতে ব্যাট করতে পারেনি। মাত্র ১৫ রান যোগ করেন দুজন। তাও ২৫ বল খেলে। শফিকুল্লাহ গাফারির বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ইমরুল কায়েস ফিরেন ১৩ রান করে। বল খেলেছেন ১৫টি। মোসাদ্দেক ব্যাট করছিলেন আরো ধীর গতিতে। এর মধ্যে ৬ রানের সময় একবার জীবনও পান মোসাদ্দেক। তবে তিনি চেষ্টা করছিলেন দলকে টেনে নিতে। ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলি যোগ দিলে মোসাদ্দেকের ব্যাটও যেন চওড়া হয়ে যায়। তখন মনে হচ্ছিল সহজেই জয় পেয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা। কিন্তু রুবেল হোসেন এক ওভারে ১৩ বলে ২১ রান করা মঈন আলি এবং রানের খাতা খোলার আগে জাকির আলিকে ফিরিয়ে আবার জমিয়ে তোলে ম্যাচটি। ম্যাচটি আরো কঠিন হতে পারতো কুমিল্লার জন্য। যদি না এক রানের মাথায় আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ ফেলে দিতেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত সে রাসেলই বিশাল এক ছক্কা মেরে ২০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে দলকে পৌছে দেন ফাইনালে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি
পরবর্তী নিবন্ধসাগরে নিক্ষিপ্ত এক জেলে ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ তিনজন