বিপজ্জনক দুই পাশ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংস্কারের ফলে বাড়ছে উচ্চতা, দুর্ঘটনাও ঘটছে

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংস্কারে ফলে ক্রমান্বয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে মহাসড়কের একাধিক স্থানে মূল অংশের সাথে অসমান অংশের দূরত্ব বাড়ছে। ফলে মহাসড়কের দু’পাশের অসমান অংশ হয়ে উঠেছে বিপদজ্জনক। প্রতিদিন ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনা।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মইজ্যারটেক থেকে লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকা পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখভাল করে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির কারণে প্রতিবছর মহাসড়কের সিংহভাগ অংশে সংস্কার প্রয়োজন হয়। এতে নতুন করে কার্পেটিংয়ের ফলে মহাসড়কের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের মূল অংশের সাথে অসমান অংশের দূরত্ব এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার অনেকস্থানে দূরত্ব আরো বেশি। মূল সড়কে ওঠা-নামার অসমান অংশই হয়ে উঠেছে বিপদজনক। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ ছোট যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। অনেক সময় মালবোঝাই ভারী যানবাহনও অসমান অংশের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত কয়েকদিনে লোহাগাড়া উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে মহাসড়কের দু’পাশ অসমান হওয়ায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মোটরসাইকেল আরোহী জয়নুল আবেদীন জানান, মহাসড়ক দুই লেনের হওয়ায় একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে মূল সড়কে আর জায়গা থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়ক থেকে নেমে যেতে হয়। মহাসড়কের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, দু’পাশ অসমান হওয়ায় মোটরসাইকেলসহ অন্য ছোট যানবাহন নিয়ে মূল সড়কে উঠতে ও নামতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া শাখার আহ্বায়ক মোজাহিদ হোছাইন সাগর জানান, এমনিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত না হওয়ায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছে। এরমধ্যে প্রতিবছর মহাসড়কের মূল অংশের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মহাসড়কের দু’পাশে অসমান অংশের দূরত্বও বাড়ছে। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। মহাসড়কের মূল অংশের সাথে দু’পাশের অসমান অংশ সমান করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে মূল সড়কের সাথে অসমান অংশ যতটুকু সম্ভব মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে নির্বাচনী সহিংসতা আহত ২০
পরবর্তী নিবন্ধরেললাইনে পাথর বসানো ও তদারকির নির্দেশ