রেললাইনে পাথর বসানো ও তদারকির নির্দেশ

ট্রেন দুর্ঘটনা রোধ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

রেল লাইনে যথাযথভাবে পাথর না থাকায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রুটে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে এবং ট্রেনের গতিবেগ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ভাবেই ট্রেন চলছে পূর্বাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন রেলপথে। প্রতি বছরই গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ গুলোতে পাথর বসানো এবং প্রতিদিন রেলপথগুলোতে পাথর ঠিক মতো আছে কিনা, লাইন ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য লোকবল থাকলেও তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করার কারণেই প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রেলওয়ে ট্র্যাকগুলোতে পাথর বসানো ও তদারকির ব্যাপারে বারবার বলা হলেও এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা হয় না।
এবার এই রেল লাইনে যথাযথভাবে পাথর বসানোর জন্য এবং তদারকির জন্য সংসদীয় কমিটিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভায় ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে রেল লাইন গুলোতে যথাযথ পাথর বসানো এবং তদারকিসহ অন্যসব ব্যবস্থা জোরদার করতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত ২৬ অক্টোবর সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় দুর্ঘটনা রোধে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, মোঃ শফিকুল আজম খাঁন, মোঃ সাইফুজ্জামান, এইচ এম ইব্রাহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রেলওয়ে ট্র্যাকগুলোতে যথাযথ পাথর সরবরাহ ও তদারকি, রেলওয়ের ট্র্যাক ক্রসিংয়ের জন্য বিভিন্ন সংস্থার রাস্তা, ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় রেলওয়ের হাসপাতালসমূহে প্রেষণে চিকিৎসকদের শূন্যপদ পূরণসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ সচল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করে স্থায়ী কমিটি। রেলওয়ে পুলিশের পদোন্নতি সংক্রান্ত কার্যক্রমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করে পদোন্নতি কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করে স্থায়ী কমিটি।
সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপজ্জনক দুই পাশ
পরবর্তী নিবন্ধবিপিসির জ্বালানি খালাস বন্ধের শঙ্কা