বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে শুক্রবার থেকে মোবাইল কোর্ট : হাছান

| শুক্রবার , ১ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আইন অনুযায়ী দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে পয়লা অক্টোবর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন প্রয়োগে এ ব্যবস্থার কথা জানান মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। কোনো বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের এবং ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং আগামীকাল থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, যারা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতি পেয়েছে ক্লিনফিডের ব্যাপারে তাদের সাথে আগস্ট মাসে বৈঠক করে আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা আইন প্রয়োগ করব। দিনের পর দিন তারা সময় নেবে, কালক্ষেপণ করবে, এটি হয় না। ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কেউ দেখাতে পারে না। আর আমাদের দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠাচ্ছে না, এই অজুহাতে এখানে ক্লিনফিড চালাবে না এটা হয় না। পয়লা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ক্লিনফিড সম্প্রচার কার্যকর করার বিষয়টি সম্প্রতি দিল্লী সফরকালে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
সম্প্রতি সরকারি এবং নিবন্ধিত অনেকগুলো অনলাইন সংবাদপোর্টাল বিটিআরসি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল, এ সম্পর্কিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এবং সেটি খুব দ্রুততার সাথে নিরসন হয়েছে। অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা এবং অনুমোদন দেয়া দু’টিই চলমান প্রক্রিয়া। যে অনলাইন পোর্টালগুলো গর্হিত কাজ করে কিম্বা সৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত নয় কিম্বা গুজব রটায়, সেগুলো বন্ধ করা চলমান প্রক্রিয়া। এর অংশ হিসেবে আমরা খুব সহসা বিটিআরসিকে তালিকা দেব। সেই সাথে আদালতকেও আমরা জানাবো যে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া এবং সবগুলো একসাথে বন্ধ করে দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, তা ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রত্যাবাসানের পক্ষে কাজ করায় মুহিবুল্লাহকে হত্যা?
পরবর্তী নিবন্ধজেটিতে বিদেশি জাহাজের ধাক্কা