বিদায়ী বছরের সব দুঃখ, গ্লানি সাগরে ভাসিয়ে দিতে চাই

সিআরবি শিরীষতলার অনুষ্ঠানে এম এ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ

দুই বছর পর করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম তথা সারা দেশ। আয়োজকদের অনীহায় এবং প্রশাসনের বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এবার চট্টগ্রামে সিআরবির শিরীষতলা ব্যতীত অন্য কোথাও বাংলা বর্ষ বিদায়ের কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। সিআরবির শিরীষতলায় বেলুন উড়িয়ে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। অথচ চৈত্রের শেষদিনে বাংলা বর্ষবিদায় উপলক্ষে শোভাযাত্রা, গান, নাচ, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে মুখর থাকত চট্টগ্রাম। গত দুই বছর সেই আয়োজনে বাধ সেধেছিল করোনার সংক্রমণ। এবার রমজানের কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন সংক্ষিপ্ত করার তাগাদা ছিল। এছাড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করায় বর্ষবিদায়ের আয়োজনই বাদ দিয়েছেন আয়োজকরা।
নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় গতকাল বুধবার বিকেলে একুশে পদকপ্রাপ্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বেলুন উড়িয়ে নববর্ষের আয়োজনের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, কোভিড এবং রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমাদের দেয়া হয়েছে। আমরা বিধিনিষেধ মেনেই বর্ষ বিদায় দিচ্ছি। আগামীকাল (আজ) আমরা নতুন বছরকে বরণ করব। বিদায়ী বছরের যত দুঃখ, গ্লানি, হতাশা সব আমরা বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিতে চাই। নতুন বছর যেন আমাদের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি নিয়ে আসে সেই প্রত্যাশা আমরা করছি।
এ সময় আয়োজক সংগঠন ‘নববর্ষ উদযাপন পরিষদের’ সংগঠকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উদীচী চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা ও সহ সাধারণ সম্পাদক জয় সেন, কবি কামরুল হাসান বাদল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, মিলি চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী স্বপন মজুমদার, শেখ শওকত ইকবাল, রেল শ্রমিক লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, সংগঠক হাসান মারুফ রুমী প্রমুখ। মিনিট দশেকের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আয়োজন শেষ করে সংগঠকরা মঞ্চ ত্যাগ করেন।
নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি ডা. চন্দন দাশ আজাদীকে বলেন, গান-বাজনা এবার আমরা নিজেরাই বাদ দিয়েছি। গান-বাজনা করতে গেলে ইফতারের সময় হয়ে যাবে। তাছাড়া কোভিড পরিস্থিতি মানুষ মাত্র সামলে উঠছে। রমজানও একটা বিষয়। সেগুলো মাথায় রেখে শুধুমাত্র ট্র্যাডিশনটা বজায় রাখার জন্য আমরা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ষ বিদায়ের আয়োজন করেছি।
বর্ষ বিদায়ের দিনে প্রতিবছর সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে নগরীর ডিসি হিল এবং বাদশা মিয়া সড়কের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হত। এবার কোনো আয়োজন হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভূমি জটিলতা নিরসন, তিনটি প্যাকেজে টেন্ডার শিগগিরই
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা