বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি রাজনীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদক চর্চা মুক্ত

উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব বলেছেন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি রাজনীতি, জঙ্গীবাদ ও মাদক চর্চা মুক্ত। আমাদের শুরু থেকেই নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে। বিশাল এলাকাজুড়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। উচ্চ শিক্ষার গুনগত মানব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আমরা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমদ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে কম খরচে উচ্চ শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। যার প্রেক্ষিতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা তাদের সন্তানদের যাতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারে সেই জন্য আমরা প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের মাসিক ভিত্তিতে টিউশন ফি পরিশোধ করার সুযোগ দিচ্ছি।

যা অন্য কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। উপাচার্য বলেন, আমরা বিনা মূল্যে চট্টগ্রাম শহর থেকে ছাত্রছাত্রীদের পরিবহন সুবিধা প্রদান করছি।

গরীব মেধাবী ও সেমিষ্টার ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ থেকে শতভাগ পর্যন্ত টিউশন ফি মওকুফসহ বিভিন্ন সুবিধাদি প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহ শিক্ষাকার্যক্রম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই নিরিখে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সেন্ট্রাল কালচারাল ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি ক্লাব, ডিবেটিং সোসাইটি ইত্যাদি। গবেষনা কার্যক্রমে আমরা অত্যন্ত সক্রিয়, গবেষনা কার্যক্রমের জন্য আমাদের রয়েছে সেন্টার ফর রিচার্স এন্ড পাাবলিকেশন বিভাগ। তাই উন্নত অবকাঠামো, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অন্যান্য ব্যতিক্রমী সুবিধাদির কারণে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি অনুষদের অধীনে বিবিএ, এলএলবি (অনার্স), বিএসসি (অনার্স) ইন সিএসই, বিএ(অনার্স) ইন ইংলিশ, বি ফার্ম (অনার্স), বিএসএস (অনার্স) ইন জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া ষ্টাডিজ এই ছয়টি বিভাগে অনার্স ও এমবিএ, এমএ ইন ইংলিশ ও মাষ্টার্স ইন পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) এই বিষয়ে মাষ্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামে সাড়ে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত আছে। তিনি আরো বলেন, সর্বোপরি মান সম্পন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে রূপকল্প রয়েছে তা বাস্তবায়নে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা পরিষদ : চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশীদার