বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে

চন্দ্রঘোনায় আ. লীগের সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, এখন বিএনপি আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে, বিএনপি এলাকায় আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতদিন তাদের খবর ছিল না। গত নির্বাচনের সময় তাদের ধানের শীষের ক্যাম্পেইন করতে আমরা দেখেছি, কিন্তু গত ৩ বছর ধরে তাদের আর দেখা যায়নি। তারা বন্যার সময় ছিল না, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছিল না। গত দুই বছর করোনার সময়ও তাদের দেখা যায়নি। এখন তারা আবার উঁকি দিচ্ছে। বিএনপি জনপদে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচু বাগান এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আ. লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগকে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে দেশকে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁকে হত্যার পর বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২১ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোট যখন আবার ক্ষমতায় এলো, তখন থেকে বাংলাদেশ আবার উন্নতির দিকে এগিয়ে গেল। এখন বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে তারা এখন আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ জানাবো, আপনারা মানুষের ঘরে ঘরে যান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে পরিবর্তনগুলো করেছে, সেই পরিবর্তনের কথাগুলো জনগণকে জানান। দলে মাদকাসক্তদের কোনো ঠাঁই হবে না। আমাদের দলে যারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে যুক্ত, জায়গা দখলের সাথে যুক্ত, চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত তাদের কোনো ঠাঁই হবে না। যে নেতৃত্বের কোন বদনাম কিংবা দুর্নাম নাই, তাদেরকেই দলে জায়গা দিতে হবে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হারুন সওদাগরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলী শাহ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, আকতার হোসেন খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মাস্টার আসলাম খান, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবু তাহের, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, এমরুল করিম রাশেদ, শেখর বিশ্বাস, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, আবু মনছুর, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, মো. ইউনুচ, নাছির উদ্দিন রিয়াজ, রাসেল রাসু প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে দৈনিক শনাক্ত আরও কমে পাঁচ হাজারের ঘরে
পরবর্তী নিবন্ধফেরত চান আমানতের শত কোটি টাকা