বাবা মাকে নিয়ে দুলাইন লিখতে পারাটাও সৌভাগ্যের

হামিমা জামিল রুমা | সোমবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বাবা-মা আমাদের সেই সম্পদ, যার মূল্য টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, ব্যাংক-ব্যলেন্স এর চেয়েও অনেক অনেক বড় আর দামী। তাদেরকে ছাড়া আমাদের জীবন অর্থহীন। তারাই আমাদের সম্পদ ও ভাগ্য। এই পৃথিবীতে যার কাছে বাবা-মা আছে প্রকৃতপক্ষে সেইই বড়লোক, সেইই ভাগ্যবান।কারণ যে বাবা-মাকে সঠিক সম্মানে রাখে, আল্লাহর সন্তুষ্টি তার উপর সর্বক্ষণ রহমত হয়ে থাকে।
কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কি তা বুঝে? আমাদের সমাজে কেনো বাবা-মা এতো অবহেলিত? কেনো তারা তাদের সম্মান পায়না? কেনো তাদের জীবনের শেষ সময়ে সন্তানের দেয়া সুখ থেকে বঞ্চিত হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে থাকতে হয়? কেনো কেনো এসব হচ্ছে? এগুলোর জন্য দায়ী কে? কখন ধ্বংস হবে আমাদের সমাজের নোংরামি? কেনো আমাদের সন্তানেরা বুঝতে পারেনা বাবা-মা কি জিনিস? তাদের স্থান কোথায়? কেনো আজ বৃদ্ধাশ্রমে এতোগুলো বাবা-মা কষ্ট পাচ্ছে?
বাবা-মা যদি একজন সন্তান পালনের পিছনে এতগুলো ত্যাগ খুশিখুশি স্বীকার করতে পারে, তাহলে সন্তান কেনো পারবেনা বাবা-মাকে বৃদ্ধ বয়সে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে? আর এই দায়িত্ব আমাদের সমাজের! আমাদের সবার। আসুননা আমরা বাবা-মাকে অনেক অনেক ভালোবাসি! সবার কাছে আমার অনুরোধ কারো বাবা-মা যেনো বৃদ্ধাশ্রমে না যায়! যতদিন বাঁচবে ততদিন যেনো আমরা তাদের সেবাযত্ন করতে পারি। কারণ এই বাবা-মায়ের দোয়ার বরকতে আমরা আমাদের পুরো জীবন ভালো থাকতে পারবো। বাবা-মা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ যার সম্পর্ক সরাসরি আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত। আর আমি চাই আমাদের সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হোক। তারা সবকিছু ভালো নজরে দেখুক। যেকোনো বিষয় না জেনে মন্তব্য না করে তার ভালো দিকটা নিয়ে আলোচনা করুক। মনে রাখবেন, বাবা-মায়ের আজ বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার জন্য আমরাই দায়ী, আমাদের সমাজব্যবস্থা দায়ী, সমাজের কিছু কুসংস্কার দায়ী। তাহলে আমরা কি পারিনা, এই পৃথিবীর বুকে একটি সুন্দর জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে? নিজেদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে? আসুন আমরা বদলে যাই! নতুনভাবে সুন্দর জীবন গড়ি বাবা-মাকে নিয়ে!

পূর্ববর্তী নিবন্ধশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস : শোকাবহ একটি অধ্যায়
পরবর্তী নিবন্ধকন্যার বিয়ে যখন বাবার জন্য মানসিক চাপ