ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বান্দরবানে ঝড়ো হাওয়ার সাথে ভারি বর্ষণ হয়েছে। পাহাড় ধসের শঙ্কায় জেলার সাতটি উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। খোলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় কেন্দ্র।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বান্দরবান জেলায় শনিবার থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার সন্ধ্যায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ভারি বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধসের শঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বান্দরবান জেলায় প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুশতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে গ্রামে গ্রামে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্ক করা হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বান্দরবান সদরে অস্থায়ীভাবে ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে সাত উপজেলার জন্য তাৎক্ষণিক ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ত্রাণ কার্য (চাল) খাতে ৪১৬ দশমিক ৩১ মেট্রিক টন চাল ও ত্রাণ কার্য (নগদ) খাতে ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের স্থানীয় কাউন্সিলররা আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিচ্ছেন।
