বান্দরবানে অপহরণ মামলায় এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. শহিদুল্লাহ (৫৭)। সে মহেশখালী ধইলেরপাড় এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই ছেলে নাঈমকে এপেন্ডিসাইড অপারেশন করানোর জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই সময় তাকে সেবা করার জন্য তার মা ও ৫ বছরের বোন জান্নাতুল নাঈমা হাসপাতালে অবস্থান করছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় ক্লান্তিতে পাশের খালি সিটে নাঈমার মা ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘুম ভাঙলে পাশে জান্নাতুল নাঈমাকে না দেখে চিৎকার চেঁচামেচি ও তাকে খুঁজতে হাসপাতালের নিচ তলায় নেমে আসে। এ সময় নাঈমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালে অবস্থান করা অন্যান্য রোগীর স্বজনদের সহায়তায় অপহরণকারী শহিদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন । পরে নাঈমার বাবা মো. আবদুল মান্নান বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বাসিং থুয়াই মারমা জানান, স্বাক্ষ প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১৪ বছর কারাদণ্ড একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর আসামি শহিদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
