বাগরাম থেকে মার্কিন সেনা বিদায়ে যুদ্ধের ঝুঁকি আফগানিস্তানে

| রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কেন্দ্র ছিল বিশাল বাগরাম বিমান ঘাঁটি। প্রথম মার্কিন সেনাদের পা পড়েছিল এ ঘাঁটিতে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে হাজারো সেনা ঢুকেছে এ ঘাঁটি দিয়েই। লড়াইয়ে মারা যাওয়া মার্কিন সেনাদের প্রস্থানও হত এ ঘাঁটি হয়ে। সেই ঘাঁটি থেকে সেনাদের বিদায়ের মধ্য দিয়ে অবসান হয়েছে দীর্ঘ এক অধ্যায়ের। সেই সাথে আফগানিস্তানে বাজিয়েছে নতুন এক গৃহযুদ্ধের দামামা।
আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সময়সীমা নির্ধারিত আছে এবছর ১১ সেপ্টম্বরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ২০ তম বর্ষপূর্তির দিনে। তার আগে ৪ জুলাইয়েই বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাগরাম বিমানঘাঁটি খালি হল তারও আগে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে তালেবানের দাপট বাড়তে থাকার মধ্যে রাজধানী কাবুলের কাছের গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানঘাঁটি খালি হয়ে যওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের।
আফগানিস্তানে আগামী দিনগুলোতে এই ঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই ঘোঁট পাকিয়ে উঠতে পারে পরিস্থিতি। তালেবান এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ঘাঁটিটি। কারণ, বাগরাম একসময় ছিল সোভিয়েত বাহিনীর ঘাঁটি। মার্কিন সামরিক শক্তিরও প্রতীক এটি। আর কেবল প্রতীক হিসাবেই নয়, কৌশলগত দিক থেকেও ঘাঁটিটির গুরুত্ব কম না। তাই তালেবানের চোখ থাকবে এই ঘাঁটির দিকে। আবার আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এখন ঘাঁটিটি হাতে পাওয়ার পর এর নিরাপত্তা রক্ষায় সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে তৎপর হবে।
বাগরাম ঘাঁটি আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এক মিশ্র আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ, এ ঘাঁটির দেয়ালে দেয়ালে আছে সামরিক সম্পদ। কিন্তু সেই সম্পদ আবার তালেবানেরও টপ টার্গেট। আর অগণিত আফগান যাদের জীবন ও জীবীকা নির্ভরশীল ছিল এই ঘাঁটির ওপর, তারাও এখন পরিত্যাক্ত বোধ করবে- এত সবকিছুর প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানে বাগরামের নতুন অধ্যায় অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ বৈকি!

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপজ্জনক সময় পার করছে বিশ্ব: হু
পরবর্তী নিবন্ধইথিওপিয়ায় সংঘর্ষে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে ৪ লাখ মানুষ