টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর বেশি দেরি নেই। আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে বিশ্বকাপের এবারের আসর। যদিও বাংলাদেশ প্রথম মাঠে নামবে ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে। তার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। আর সে জন্যই আগেভাগে সে দেশে রওয়ানা দিয়েছেন টাইগাররা। রাতে দেশ ছাড়লেও দুপুরে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে মিলিত হন ক্রিকেটাররা। ফটোসেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খুব বড় আশার কথা শোনাননি দলের সম্ভাবনা নিয়ে। দুজনই বলেছেন, প্রথম লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব উতরানো। তবে মনের কোণে বড় স্বপ্নও যে তারা পুষছেন, সেই আভাসটুকু মিশে ছিল তাদের কথায়।
ফটোসেশন পর্বে দেখা গেল অধিনায়ক শান্তর দুই পাশে বসেছেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়ক হিসেবে শান্তর এটি প্রথম বিশ্বকাপ। হতে পারে সাকিব এবং রিয়াদের শেষ বিশ্বকাপ। যদিও দুজনের কেউই সে ঘোষণা দেননি। তবে সাবেক দুই অধিনায়কের জন্য এবারের বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করতে চান নতুন অধিনায়ক শান্ত।
সাকিব এবার খেলবেন তার নবম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই ২০০৭ সালে টি–টোয়েন্টির প্রথম বিশ্ব আসর থেকে শুরু করে প্রতিটিতেই ছিল তার উপস্থিতি। সাকিব ছাড়া সবকটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া ক্রিকেটার আছেন আর শুধু রোহিত শর্মা। তাদের পাশে থাকতে পারত মাহমুদউল্লাহর নামও। ২০০৭ থেকে টানা সাতটি বিশ্বকাপ তিনি খেলেছেন। ২০২১ আসরে দলের অধিনায়কও ছিলেন। তবে ২০২২ আসরে বাদ পড়ে যান দল থেকে। তাই এটি তার অষ্টম বিশ্বকাপ। ৩৭ বছর বয়সী সাকিব ও ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ ২০২৬ বিশ্বকাপে থাকবেন কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। সাকিব তো গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ইতি টানবেন ক্যারিয়ারের। সে হিসেবে এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দুই অগ্রজের এটি শেষ বিশ্বকাপ কিনা সেটা বলতে না পারলেও দুই মহারথীর জন্য তাই এবারের বিশ্বকাপ রাঙানোর আশা তার কণ্ঠে।
শান্ত বলেন, তারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন। আমরা যারা তরুণ ক্রিকেটার আছি, তারা অবশ্যই চেষ্টা করব এই দুইজনকে ভালো স্মৃতি উপহার দিতে। ভালো একটি বিশ্বকাপ শেষ করতে পারাটাই হবে আমরা তরুণদের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বড় উপহার। আর এটি অবশ্যই আমাদের তরুণদের দায়িত্ব। দলের ভারসাম্যের জন্য সাকিব এখনও মহাগুরুত্বপূর্ণ। ব্যাট হাতে সেরা সময় এখন আর না থাকলেও বল হাতে তাকে এখনও বলা যায় দেশের সেরা। মাহমুদউল্লাহও গত কয়েক মাসে নিজের ক্যারিয়ারকে যেন পুনরুজ্জীবিত করেছেন। বিশ্বকাপে তাদের কাছে বিশেষ কিছু চাওয়ার নেই শান্তর। শুধু তাদের ছোঁয়ায় আরও সমৃদ্ধ হতে চান নিজেরা। শান্ত বলেন সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে বাড়তি বা অতিরিক্ত কিছু চাই না। উনারা যেভাবে পারফর্ম করছে, যার ভূমিকা যেটি, সেটি পালন করতে পারলে দল অবশ্যই লাভবান হবে। এই দুজনের যে অভিজ্ঞতা আছে, এটা যদি প্রতিটি ক্রিকেটারের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের দলের যে ছোট ছোট জায়গাগুলিতে উন্নতির দরকার আছে, ওই জায়গাগুলোয় খুব ভালো অবস্থানে থাকব।