বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ৩৫ সাঁতারু

ছিলেন চবির তিন শিক্ষার্থী ও এক নারী

টেকনাফ ও চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

চবির তিন শিক্ষার্থী ও এক নারীসহ এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ৩৫ জন সাঁতারু। ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলার আয়োজনে সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে ১৬.১ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে দুপুরে সেন্টমার্টিন পৌঁছান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেন সাঁতারুরা।

তারা হলেন লিপটন সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত, শেখ মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম রাসেল, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, আলী রওনাক ইসলাম, আবাদুল ইসলাম, মো. জিহাদ হুসেন, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, মো. শোহেল রানা, শৌভিক বড়ুয়া, উজ্জল চৌধুরী, মো. সাকিব মাহমুদ নাইম খান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, এসএম শারিয়ার মাহমুদ, মো. আবু রাশেদ, মো. গোলাম রব্বানী, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, শোয়েব তালুকদার, এসকে রায়হান আরাফাত আকাশ, রেজিনা পারভিন, মো. তারেক হাসান, আব্দুল্লাহ আল তৌসিফ, মো. জামিল হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম ও রাব্বি রহমান।

আমাদের চবি প্রতিনিধি জানান, এবার দ্বিতীয় বারের মতো সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একজন সাবেক ও দুইজন বর্তমান শিক্ষার্থী। বাংলা চ্যানেলজয়ী ৩৫ জনের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন চবি শিক্ষার্থী সালাহ উদ্দিন। দৈনিক আজাদীকে ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এ শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম বাংলা চ্যানেলের কথা শুনি ২০১৭ সালে। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার। ৫ বছর ধরে সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছিলাম।

গতবারই প্রথম চবিয়ান হিসেবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার গৌরব অর্জন করি। প্রতিযোগিতায় এবার তো চতুর্থ স্থানই অর্জন করেছি। আমার এই অর্জন আমি আমার বাবা-মাকে উৎসর্গ করলাম। বাংলা চ্যানেলজয়ী চবির বাকি তিন শিক্ষার্থী হলেন, পালি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল চৌধুরী মারমা এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আজাদ। এর মধ্যে উজ্জ্বল চৌধুরী মারমা পাহাড়িদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি জমিয়েছেন। বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক লিপটন সরকার জানান, এবার একজন নারীসহ ৩৫ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পর থেকে সাতারুরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছাতে শুরু করেন। এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হয়। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬.১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেই বার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাঈদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেন্টমার্টিনে অবৈধ হোটেলের তালিকা চেয়েছে কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে চার বসতঘর