বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবীর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ, ২০২৪ at ১:২৮ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে দূতাবাসের কাউন্সিলার লুৎফর রহমান নাজিমের পরিচালনায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে।

এতে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ,বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবীর সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ সমিতি ইউএই সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম ,বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবীর সাধারণ সম্পাদক নাছির তালুকদার, সহ সভাপতি শওকত আকবর, জনতা ব্যাংকের সিইও কামরুজ্জমান ,বাংলাদেশ স্কুল ও কলেজের অধ্যাপক আবু তাহের, প্রকৌশলী আশীষ বডুয়াসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এতে বক্তরা বলেন-বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এইদিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ঐতিহাসিক এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।
বঙ্গবন্ধুর এই বজ্র-নিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএস আলম সুগার মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে : ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার