বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের তোফাইল

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:১৫ অপরাহ্ণ

বাঁশখালী পৌরসভার চতুর্থবারের মতো আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন (নৌকা) ১৪ হাজার ৩৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী (মোবাইল ফোন) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও তিনি পেয়েছেন ১,৩৬৫ ভোট।

নির্বাচনে ১১টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৯৮০ জন ভোটার ও মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটে প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

কোথাও কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডে পূর্ব জলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকেরা ফটকা ফুটালে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক সহ পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বিশেষ দল।

তারা সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থীদের এ ধরনের আর কোনো ঘটনা ঘটলে সকল প্রার্থীকে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার পর থেকে কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল করতে থাকে।

বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের হল রুমে সকল কেন্দ্রের ফলাফল আসার পর তা ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ ফয়সাল আলম প্রার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনের সংরক্ষিত ১,২,৩ ওয়ার্ডে রুজিয়া আকতার (জবা ফুল) ২,২০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। অপর প্রার্থী হামিদা বেগম (আনারস) ১,৬৯৯ ভোট, সেতারা বেগম (চশমা) ৮০২ ভোট, সারাবান তাহুরা ফেরদৌসি কলি (অটোরিকশা) ২৭০ ভোট পান।

৪,৫,৬ ওয়ার্ডে রোজিয়া সুলতানা (আনারস) ২,৮০২ ভাট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। অপর প্রার্থী রেবা তালুকদার (চশমা) ২,২১১ ভোট পান।

৭,৮,৯ ওয়ার্ডে ছাদেকা নুর খানম বিউটি(আনারস) ২,১২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী নারগিস আক্তার(জবা ফুল) ১,৭৫৪ ভোট, করিমা আক্তার(টেলিফোন) ৭৭৪ ভোট, খালেদা বেগম (চশমা) ১,০১২ ভোট পান।

১নং ওয়ার্ডে আনসুর আলী (উটপাখি) ১,৪০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী মো. হোছাইন (ডালিম) ৪ ভোট, মাহফুজুর রহমান আনিছ (পাঞ্জাবি) ১৭ ভোট পান।

২নং ওয়ার্ডে কাঞ্চন কুমার বড়ুয়া(পাঞ্জাবি) ৬৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী মিলন বড়ুয়া (ব্রিজ) ৩৩৭ ভোট, হারুনুর রশিদ(উটপাখি) ২৯৫ ভোট, মা. আবদুল লতিফ(ডালিম) ২৬৪ ভোট পান।

৩নং ওয়ার্ডে জমশেদ আলম(ব্রিজ) ৩৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন (ব্ল্যাকবোর্ড) ২৬২ ভোট, মো. মানিকুল আলম (পানির বোতল) ২৫৬ ভোট, আবদুল অদুদ(লেদু) (উটপাখি) ২২৪ ভোট, মো. সাহাব উদ্দিন (গাজর) ২৮৩ ভোট, মো. ফিরোজ শাহী (টেবিল ল্যাম্প) ২৪৩ ভোট, মো. মোসলেম উদ্দিন (ডালিম) ১১১ ভোট, মো. বেলাল উদ্দিন (ফাইল কেবিনেট) ১৬৬ ভোট, মো. জসীম উদ্দিন (পাঞ্জাবি) ১৮৬ ভোট পান।

৪নং ওয়ার্ডে আরিফ মঈনুদ্দিন (পাঞ্জাবি) ১,১১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী আজগর হোসেন (ইটাপাখি) ৩৪৮ ভোট, মো. আকতার হোছাইন (ব্রিজ) ২৩ ভোট পান।

৫নং ওয়ার্ডে মো. ইসহাক (উটপাখি) ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী মো. সোহেল(টেবিল ল্যাম্প) ৩৯২ ভোট, মো. নাছির উদ্দিন (ব্ল্যাকবোর্ড) ৩৯০ ভোট, মো. আমিরুজ্জামান (ডালিম) ৩৩ ভোট, মো. হোছাইন উদ্দিন(গাজর) ১৫২ ভোট, মো. নঈমুল হক মানিক (ব্রিজ) ১১৯ ভোট, নুরুল আলম (পাঞ্জাবি) ২১০ ভোট পান।

৬নং ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন (ব্রিজ) ১,২১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী দিলীপ চক্রবর্তী(পাঞ্জাবি) ৫৬৩ ভোট, নির্মল কান্তি রুদ্র (উটপাখি) ৮১ ভোট পান।

৭নং ওয়ার্ডে আবদুল গফুর (ব্রিজ) ৯০১ ভোাট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী মোহাম্মদ হারুন (পাঞ্জাবি) ৩১৪ ভোট, আরাফাত উদ্দিন (টেবিল ল্যাম্প) ৪৫১ ভোট, মো. নুরুল আলম (ডালিম) ৭৩ ভোট, মো. জাকের হোসেন (উটপাখি) ৪৯ ভোট পান।

৮নং ওয়ার্ডে প্রণব কুমার দাশ (ব্ল্যাকবোর্ড) ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী ব্যোমপতি দাশ (ডালিম) ৭২০ ভোট, উত্তম কুমার কারণ (উটপাখি) ১২১ ভোট, মো. নুরুন্নবী (পাঞ্জাবি) ৩১৮ ভোট পান।

৯নং ওয়ার্ডে বদিউল আলম (টেবিল ল্যাম্প) ৬৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোছাইন(পাঞ্জাবি) ৪৮২ ভোট, কামরুল ইসলাম (উটপাখি) ৪০৭ ভোট, মুহিববুল্লাহ (ব্রিজ) ৪৯ ভোট, মো. ওমর ফারুক (ডালিম) ৯৬ ভোট, জয়নাল আবেদীন (ব্ল্যাকবোর্ড) ৪০ ভোট পান।

নির্বাচনে ভোট কারচুপির লিখিত অভিযোগ এনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী।

অপরদিকে বেসরকারি বিজয়ী আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন জনগণ শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে সরকার মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করায় সকল প্রশাসনিক ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগাম জামিন পেলেন শাহাদাত-বক্করসহ বিএনপির ২৩ নেতাকর্মী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা