বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী ২নং ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়া এলাকার চলাচলের রাস্তা নিয়ে পৌরসভায় অভিযোগ করার জের হিসাবে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে প্রায় ৮ জন আহত হলেও গুরুতর আহত ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সংঘটিত ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় লেদী বড়ুয়া (৩৮) ও সুসেন বড়ুয়া (৫৫) নামে স্বামী-স্ত্রীকে চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় হামলায় সুমিত্রা বড়ুয়া (৪০), অনন্ত সেন বড়ুয়া (৪৫), কলেজ ছাত্রী দিবা বড়ুয়া (১৮), ৭ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র দিগন্ত বড়ুয়া (১২) ও একজন প্রতিবন্ধী সহ ৮ জন আহত হয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও হামলায় আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর যাবৎ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদী বড়ুয়া পাড়া ভদ্র মোহন বড়ুয়ার বাড়ির চলাচলের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ইট বসিয়ে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে দেয় কিন্তু কয়েকদিন আগে উক্ত রাস্তাটি নিজের জায়গায় দাবি করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন স্থানীয় মিত্রসেন বড়ুয়া ও ডালিম বড়ুয়া গং।
এ দিকে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় সুসেন বড়ুয়ার পক্ষ থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে পৌর কর্তৃপক্ষের ৪ জন পৌর পুলিশ আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল গিয়ে উক্ত চলাচলের রাস্তাটি খুলে দেয়।
এ সময় পৌর পুলিশরা ঘটনাস্থল থেকে কিছুদূরে দোকানে অবস্থান নিলে মিত্রসেন বড়ুয়া ও ডালিম বড়ুয়া কাগজপত্র দেখানোর কথা বলে বাড়িতে কাগজপত্র আনতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
এসময় তাদের হামলায় স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ ৮ জন আহত হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়।
বাঁশখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্তি বড়ুয়া বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনে সমাধান করার উদ্যোগ গ্রহণ করি কিন্ত মিত্রসেনরা তাতে রাজী না হওয়ায় পৌরসভাকে অবহিত করলে পৌর পুলিশ এসে চলাচলের রাস্তা খুলে দেন। এ সময় মিত্র সেন বাড়ি থেকে কাগজপত্র আনার কথা বলে বাড়িতে গিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়।”
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. নিগার সুলতানা জানান, পৌরসভার উত্তর জলদী বড়ুয়া পাড়ায় হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত ও চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি তবে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।” অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
