বহির্বিভাগে বাড়ছে রোগী, মিলছে সেবা

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর ভিড়। কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এতে রোগীর চাপ বৃদ্ধিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। চিকিৎসকেরা জানান, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় তিন হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে সাড়ে ৪শ রোগী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ২৭ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি এসব রোগীকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ। এছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পাশাপাশি ২৬৩ জন প্রসূতি মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।

সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী জ্বর, সর্দিকাঁশি, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টসহ মৌসুমী রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে শিশুর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিনামূল্যে দেওয়া ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। কেউ কেউ চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তিও হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা পারভিন আক্তার, সাইফুল ইসলাম, নুর উদ্দিন, ফাতেমা আক্তার, আয়েশা সিদ্দিকী ও সাহাব উদ্দিন বলেন, তারা দুইতিন দিন আগে মৌসুমী জ্বর ও কাঁশিতে আক্রান্ত হন। তাই বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য এখানে আসেন। রোগীর ভিড়ের কারণে ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়ানোর পর চিকিৎসা সেবা নিতে পেরেছেন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে পেয়েছেন প্রয়োজনীয় সকল ওষুধও।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের চিকিৎসা সেবার প্রতি উপজেলার রোগীদের আস্থা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন বহির্বিভাগের সামনে ভিড় করছেন শত শত রোগী। রোগীর একতৃতীয়াংশ সর্দিজ্বর, কাঁশি, অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন মৌসুমি রোগে আক্রান্ত। উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে গর্ভবতী নারী ও প্রসূতি মায়েরা। জ্বরসর্দিকাঁশির রোগী বাড়ার ব্যাপারে তিনি বলে, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসব মৌসুমী জ্বর হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন আজ
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার ৬ সদস্য আটক