বঙ্গবন্ধু ও নজরুল বাঙালি হৃদয়ে চির জাগরুক থাকবে

নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনারে চবি উপাচার্য

| সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও নজরুল’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে।
চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারই সম্মোহনী নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি পাকিস্তানী হায়েনাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাস এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পথে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বদেশপ্রেমের সাড়া জাগানো সংগীত ও কবিতা বাঙালি জাতিকে যুগিয়েছে অদম্য শক্তি, সাহস ও অনুপ্রেরণা। এই দুই দিকপাল বাঙালি জাতির হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে আছেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা তার প্রবন্ধে বলেন, কেবল হাজার বছর নয়, ইতিহাসপূর্ব কাল থেকে ধারাক্রমে বিবর্তিত এক সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ। আর সে জাতিরাষ্ট্রের দুই দ্রোহী জাতিভাস্করের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মূলত, এ দুজনই কবি- একজন কবিতার, অন্যজন রাজনীতির। দুজনই চেয়েছিলেন বাংলার জয়। ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য দুটি বিষয়ে মিল রয়েছে- একটি হল ধর্মনিরপেক্ষতা, অপরটি হল সমাজতন্ত্র।
নজরুল সংগীতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকলেজিয়েট স্কুলে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
পরবর্তী নিবন্ধরাশেদ রউফ-এর অন্ত্যমিল