বউ পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়া স্বামীর আজব যুক্তি

রাউজান প্রতিনিধি | সোমবার , ৪ জুলাই, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে যৌতুকের জন্য লাঠি দিয়ে মেরে তাওহিদুন্নেছা নামে এক গৃহবধূর হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার স্বামী মো. আলমগীর তালুকদারের বিরুদ্ধে। গত ২৮ জুন উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের উত্তর গশ্চি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত আলমগীর উক্ত গ্রামের সালেহ আহমদের তালুকদারের ছেলে। স্বামীর নির্যাতনে আহত গৃহবধূ বাঁশখালী উপজেলার মোস্তাক আহমদের কন্যা।
আহত গৃহবধূর পিতা মোস্তাক আহমদের রাউজান উরকিরচর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনি অভিযোগ করে জানান, তার মেয়ের সংসারে দুই বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। যৌতুকের জন্য ধারাবাহিক নির্যাতনের সর্বশেষ নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৮জুন তাকে লাঠি দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় আলমগীর। পরে
সংবাদ পেয়ে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে আহত মেয়েকে উদ্ধার করেন। এরপর প্রথমে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে গতকাল হাসপাতাল থেকে এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে রাখেন। তার আরো অভিযোগ ঘটনার পর থেকে আলমগীর একবারের জন্যও স্ত্রী সন্তানের খোঁজ নেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে আলমগীর তালুকদার বলেন, যৌতুক দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সত্যটা হচ্ছে গত ২৮ জুন স্ত্রী তাওহিদুন্নেছার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের দৈনিক হিসাব থেকে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ কত হতে পারে হিসাব করে বের করতে। সেই হিসাব বের করতে না পারায় দুষ্টামি করে তাকে ছোট একটি বাঁশের কাটি দিয়ে কয়েকটি বারি দিয়েছিলাম। এই ঘটনায় হাত ভাঙ্গার কথা নয়। আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার পর কেন তার খোঁজ খবর নেননি এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তার শ্বশুর মেয়েকে কোথায় নিয়ে রেখেছেন তা তিনি জানতেন না।
জানা যায়, আলমগীর আগে প্রবাসে ছিলেন। তাওহিদুন্নেছার সাথে তার বিয়ে হয় চার বছর আগে। এর আগে আলমগীর আরো একটি বিয়ে করে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিল।
এ বিষয়ে গত ২৯ জুন আহত তাওহিদুন্নেছার স্বাক্ষর করা একটি অভিযোগপত্র রাউজান থানায় জমা দিয়েছেন বলে জানান তার বাবা মোস্তাক আহমদ। তবে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন এই ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান। অবশ্য তিনি বলেন ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅসুস্থ শিশু, রিকশাচালক বাবা আর বেপরোয়া একটি ট্রাক
পরবর্তী নিবন্ধসময় শেষ, প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি