ফেসবুকে পেজ খুলে এসএসসির ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি

কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১২ মে, ২০২৩ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

প্রিন্স ধ্রুব’ নামে ফেসবুকে পেজ খুলে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল একটি প্রতারক চক্রের মূল হোতা রিজভী। সেখানে পাঁচটি বিকাশ নম্বর দিয়ে বলা হয়, “টাকা দিয়ে ‘এসএসসি সিটিজি ২০২৩’ নামে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এড হয়ে যাবেন আপনারা। সকল কথা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে বলবেন। যে বিকাশ নাম্বারে টাকা দেবেন প্রয়োজনে সেই নাম্বারে কল দিয়ে কথা বলে নেবেন। আপনি আমার ৫টা বিকাশ নাম্বারের মধ্যে কোন নাম্বারে টাকা দিয়েছেন সেটাও বলবেন, আপনি যে বিকাশ নাম্বার থেকে টাকা দিয়েছেন সেটাও বলবেন। আপনি টাকাটা কয়টায় দিয়েছেন সেটাও বলবেন। সবকিছু আমার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে বলে রাখুন। আমাকে কল দিয়ে বললেও হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে বলে রাখুন। আমি আস্তে আস্তে সবার ম্যাসেজ চেক করে নতুন গ্রুপে এড দিবো।”

কিন্তু বিধি বাম। র‌্যাব৭ এর অভিযানে ধরা পড়ে হাজতবাস করতে হচ্ছে তাদের চারজনকে। গত বুধবার (১০ মে) রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার কালা মিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন জন হলো আহমেদ রেজা খান রিজভী (২০), মো. আরমান (২২), মো. রিফাত (২৩)। অপর জন মোহাম্মদ রাসেল তালুকদার (২২) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার তিনজন নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র। চকবাজার কেন্দ্রিক কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। মূলত বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে সাজেশন সংগ্রহ করে এর ভিত্তিতে ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করতো তারা।

র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহবুব আলম জানান, গ্রেপ্তার চারজন সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এরা চলমান এসএসসি পরীক্ষার কথিত প্রশ্ন বিক্রি করে আসছিল। তারা মূলত পরস্পর যোগসাজশে আগের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে সেগুলো কম্পিউটারে এডিট করে কিছু পরিবর্তন আনে। এরপর চলমান এসএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী তারিখ বসায়। এরপর সেগুলো ফেসবুকহোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের কাছে সরবরাহ করে টাকার বিনিময়ে।

র‌্যাব কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, এরা সরাসরি প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পেরেছে এমন নয়। পুরনো প্রশ্নপত্র এবং সাজেশন মিলিয়ে তারা নিজেরাই ভুয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে সরবরাহ করে টাকা আদায় করেছে। প্রশ্নপত্র ভুয়া হলেও অন্তত ৩০ শতাংশ কমন এসেছে। এতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়েছে। অন্তত চারটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে তারা এই প্রতারণা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছিনতাই করে ফের টাকার আশায় এসে আটক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামসহ সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা