ফরগিভনেস ইজ এ ফ্রিডম

পান্না আহমেদ | শুক্রবার , ১ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ক্ষমা মহৎ গুণ। সৃষ্টিকর্তাও ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, ক্ষমাকারীকেও ভালোবাসেন। মানসিকতার বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের এটিচিউড বা আচরণ বিভিন্ন রকম। হিংসা ঘৃণা লোভ মারামারি কাটাকাটি আমাদের এই আচরণের নানান দিক। ঈর্ষা আমাদের কাতর করে দেয়। কেউ খুব ভালো আছে এই দুঃখে কারো কারো ঘুম হারাম। মানুষ নিজের দুঃখকষ্ট যতটা নীরবে হজম করে অন্যের আনন্দ ততটা সহজে হজম করতে পারে না (কেউ কেউ)। ! কেউ কেউ এর পিছনের কারণ আবিষ্কারে কালাতিপাত করে। আমরা সহজেই কারো ভুল বা অন্যায়কে উড়িয়ে দিতে পারি না। পারি না সকলের জন্য উদার বা ক্ষমাশীল হতে। মনের মধ্যে পুষে রাখি নানান ক্ষোভ। যার কারণে তৈরী হয় হরেক রকম জটিলতা! নানান রোগশোক।
ধরুন কারো আচরণে আমি তার উপরে ক্ষেপে আছি। প্রচণ্ডভাবে নিজের মধ্যে চাপ অনুভব করছি। রাগে মাথা গরম। রাতে ঘুমাতে পারছি না! কখন যে তাকে শায়েস্তা করবো জন্মের মত। বুঝিয়ে দিবো কত ধানে কত চাল। এই যে আপনার ঘুম হারাম, রাগে প্রেশার হাই। যার উপরে আপনার রাগ, জীবন বিকল প্রায়, তিনি কি জানেন আপনার অবস্থা? বা তিনি কি সহমর্মী? পাত্তা দিচ্ছেন আপনার মানসিক অবস্থার? হয়তোবা জানেনই না। তো আপনার কী লাভ হলো বুকের মধ্যে সব পুষে রেখে অসুস্থ হয়ে। তাই সকল পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নিজেকে ভার মুক্ত রাখুন। ক্ষমাই সেই মুক্তির পথ। কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারলেই আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে। নইলে রাগ জেদ স্ট্রেসের মধ্যে আটকে থাকবেন বা থাকবো! নিজের ক্ষতি ডেকে আনবো। আসুন সবকিছু সহজ ভাবে যেতে দিয়ে ক্ষমার মধ্যেই মুক্তির পথ নির্মাণ করি। ক্ষমাকে শুধু শব্দে আবদ্ধ না রেখে আদতেই সকলের জীবনকে শুভ করার পথ তৈরী করি চলুন। ভালোবাসা আর ক্ষমার দৃষ্টান্ত তৈরী করি। সকলেই ভালো থাকি। কারণ ক্ষমাই আপনার আগামীর পথকে প্রসারিত করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাণ হারিয়ে নগরবাসী প্রমাণ করছে তারা কতটা অনিরাপদ
পরবর্তী নিবন্ধআন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস