ফটিকছড়িতে ঘরবাড়ি, দোকান ক্লাব ভাঙচুর, আহত অন্তত ৩৫

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি বাগান বাজার, দাঁতমারা ও পাইন্দং ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৩৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। দোকান, ঘরবাড়ি ক্লাব ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভূজপুর থানায় অভিযোগ হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বাগান বাজারের ৩নং ওয়ার্ডের গার্ডের বাজার নামক স্থানে সংঘবদ্ধ একটা দল অতর্কিত হামলা চালায় মোবারক হোসেন দীপু নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর।
দীপু জানান, ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল লাঠিসোটা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায়। অতর্কিত হামলায় তিনি মুখ, বুক এবং হাতে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রুস্তম আলী অভিযোগ করে জানান, তার কর্মী সমর্থকদের শুক্রবার সকাল থেকে মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর, মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়া সহ অনেক লুটতরাজ চলেছে। এজন্য তিনি বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনকে দায়ী করেন। অপর দিকে দাঁতমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুল হক মজুমদারের অভিযোগ, শান্তিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকেলে বোরহান সওদাগরের দোকানে হামলা, ভাঙচুর হয়। বড় বেতুয়া এলাকায় মেরিনার কাদেরের বাড়িঘর, দোকান, ক্লাব ঘরে ভাঙচুর হয়। বালুটিলা এলাকায় ১০/১৫ জনকে মারধর করা হয়। ময়ুরখীল এলাকায় ৫/৭ ঘর ভাঙচুর হয়। তারা অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এসব সহিংসতা করেছে নৌকার বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন। সহিংসতার বিষয়ে বাগান বাজার ও দাঁতমারা থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আছহাব উদ্দিন বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার খবর পেয়েছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ফটিকছড়ি থানার পাইন্দং ইউনিয়নের ১ নং ফকিরাচান ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী করিম উদ্দিন ও বদিউল সমর্থকরা যৌথভাবে নির্বাচিত মেম্বার নুর মিয়ার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নুর মিয়ার মেয়ে রোকসানা, মেয়ের জামাই হারুন, মিনহাজ, ইদ্রীস সহ প্রায় এক ডজনের বেশি কর্মী সমর্থক আহত হয়। মিনহাজকে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার মো. আজমগীর বলেন, ফকিরাচাঁন এলাকায় মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শফি হত্যা মামলায় একজন গ্রেপ্তার : এদিকে লেলাং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে ভোটের দিন (১১ নভেম্বর) সহিংসতায় নিহত শফির হত্যা মামলায় মাহাবুব (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে গোপালঘাটা গ্রামের গাজি মোহাম্মদের বাড়ির মরহুম সোলাইমান সওদাগরের পুত্র। এর আগে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষযটি ফটিকছড়ি থানার ওসি রবিউল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশুদের হাতে পায়ে র‌্যাশ একটি নতুন রোগ
পরবর্তী নিবন্ধকেন অযত্ন, কার অবহেলা