ফখরুল-আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর

| মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই আদেশ দেন। জামিন নামঞ্জুর হওয়া অন্যদের মধ্যে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আ. সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন প্রমুখ। খবর বাংলানিউজের।

এ দিন আসামিপক্ষে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। এ সময় এজলাসে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক সবার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এর আগে রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। সেই আবেদনের শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে দেন আদালত। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন সন্ধ্যায় জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

একই মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আ. সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবীর খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জন। তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্যাহ আমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুড়ি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। এ সময় রিজভীসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুনানিতে যা হলো
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ