প্রান্তিক পর্যায়ে যারা সাহিত্যচর্চা করেন তাদের মূল স্রোতধারায় আনার লক্ষ্য

জেলা সাহিত্যমেলা শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) . প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, শুদ্ধ সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনধারা অপসংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাবে। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ে যারা সাহিত্যচর্চা করেন তাদেরকে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে। এর দ্বারা বাংলার সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে।

গতকাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত দুদিনব্যাপী জেলা সাহিত্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে যারা সাহিত্যচর্চা করেন তাদেরকে মূল স্রোতধারায় এনে বাংলার সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করা এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। সুষ্ঠু সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে এ দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই সাহিত্যমেলা। জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়। বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে মেলার ব্যবস্থাপনায় ছিল জেলা প্রশাসন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন ও ড. মাহবুবুল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মুহাম্মদ শামসুল হক।

. মাহবুবুল হক বলেন, এই মেলার মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাহিত্যের স্রোতধারার গতি আরো বেগবান হবে। এই মেলা সৃষ্টিশীলতা ও সৃজনশীলতায় অবদান রাখবে। নব্য সাহিত্যিকরা নতুন নতুন সাহিত্য সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা পাবেন। মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, বাংলাদেশে যে অসুস্থ সংস্কৃতির চর্চা রয়েছে সাহিত্যমেলার ধারা অব্যাহত থাকলে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এএইচএম লোকমান বলেন, প্রতিটি সুন্দর সৃষ্টিই ইতিহাস। সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনচর্চা ও বিশ্বাসের জায়গা। সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে জাতি ও জাতীয়তা। তৃণমূল পর্যায়ে যারা সাহিত্যচর্চা করেন তারা যাতে মূল ধারায় আসতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলা আয়োজনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শীঘ্রই তা সকলের মাঝে বিতরণ করা হবে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ছিল প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা। জেলার সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন গবেষক শামসুল আরেফীন। আলোচক ছিলেন কবি হাফিজ রশিদ খান। সভাপতিত্ব করেন সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম। জেলার কবিতা ও ছড়া বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। আলোচক ছিলেন কবি ওমর কায়সার, শিশির দত্ত ও আনন্দ মোহন রক্ষিত। জেলার কথাসাহিত্য, নাটক ও প্রবন্ধ বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও প্রাবন্ধিক খালেদ হামিদী। আলোচক ছিলেন বিশ্বজিৎ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন রবিউল আলম। মেলার দ্বিতীয় দিন আজ স্বরচিত সাহিত্যপাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়তলী কাঁচাবাজারে পুড়েছে ৪৭ দোকান
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬